পাহাড় নিজের দুঃখ লুকিয়ে হাসতে জানে, সমতলের মানুষকে আনন্দ দেয়

উত্তরবঙ্গ: দার্জিলিং কার্শিয়াং কালিম্পং নামগুলো উচ্চারণ করলেই শিহরণ জেগে ওঠে, মনে হয় এক ছুটে চলে যাই। মনমুগ্ধকর পরিবেশ, প্রাকৃতিক শোভা হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

    এই নাম গুলোর সাথে জড়িয়ে আছে নস্টালজিক অনুভূতি, রোমান্টিকতা, স্বর্গীয় পরিবেশ আরো কত কি। দার্জিলিং কার্শিয়াং কালিম্পং কে উজাড় করে দিয়েছে প্রকৃতি। দার্জিলিংয়ের টাইগার হিল, ঘুমে রয়েছে স্বর্গীয় পরিবেশ।

    তবে হল পাহাড়ের জীবনের এক চিত্র , আরেক চিত্র কিন্তু রয়েছে। পাহাড় মানে প্রতিকূলতা , প্রতিদিনের জীবন সংগ্রাম। পাহাড়ের সাধারণ মানুষকে যা আজীবন করে চলতে হয়। বাড়ি থেকে বেরিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে সমতলের মানুষের জন্য অনেক যানবাহন রয়েছে। পাহাড়ে কিন্তু তা নয়, বিশেষ করে দুর্গম এলাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা একেবারেই অনুন্নত। মাইলের পর মাইল পথ হেঁটে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে হয়, চা শ্রমিকদের তাদের গন্তব্যস্থলে অর্থাৎ চা বাগানে। এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে মাইলের পর মাইল হাঁটতে হয়।

    আমাদের দুবেলা ভাত না হলে চলে না, পাহাড়ের এমন প্রত্যন্ত জায়গা রয়েছে যেখানে সপ্তাহে তারা একদিন ভাত রান্না করে। পরিস্থিতি প্রতিটা মুহূর্তে চ্যালেঞ্জিং তাও মুখে হাসি লেগেই রয়েছে তাদের। জীবন সংগ্রামের প্রতিটি মুহূর্তকে অনুভব করে, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে তারা। তাই পাহাড় সবসময় হাসে , সমতলের মানুষকে আনন্দ দেয়।