হুগলির ধনেখালিতে নব্বইয়ের দশকে তৈরি হওয়া স্পোর্টিং ক্লাব ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস

নিজস্ব সংবাদদাতা : হুগলির ধনেখালিতে নব্বইয়ের দশকে তৈরি হওয়া স্পোর্টিং ক্লাব ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি ওই ক্লাবকে একটি অ্যাম্বুলেন্স কিনে দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তারপরে নাকি এই ক্লাব ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত। যদিও তৃণমূলের দাবি, ক্লাবের ছাড়পত্র না থাকায় তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ওই ক্লাব কর্তৃপক্ষ।পোলবা-দাদপুর ব্লকের বাবনান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আটি গনেশপুর গ্রামে অবস্থিত এই ক্লাবের নাম আটি গনেশপুর বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাব। স্থানীয় এক বাসিন্দার জমিতে এই ক্লাবটি এলাকাবাসীরা নিজেদের উদ্যোগেই তৈরি করেছিলেন। ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের সমাজ কল্যাণমূলক কাজ করে আসছেন। আর হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ক্লাব কর্তৃপক্ষকে অ্যাম্বুলেন্স দান করার পরেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের রোষের মুখে পড়ে ওই ক্লাব। ক্লাবের সভাপতি গৌতম সিংহ রায়ের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের কল্যাণমূলক কাজ করে থাকে ক্লাব। দীর্ঘদিন ধরে তারা মানুষের সেবা করে আসছেন। কিন্তু, ১৫ জুন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ক্লাবকে অ্যাম্বুলেন্স দান কর। আর ১৭ জুন তৃণমূল পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ক্লাব ভেঙে দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়। ওয়েস্ট বেঙ্গল পঞ্চায়েত অ্যাক্ট ১৯৭৩ অনুযায়ী, পঞ্চায়েত আইনের ধারা ২৩ নম্বর ধারার ৬ উপধারায় ‘এনওসি’ না থাকায় ক্লাব কোটি ১০ দিনের মধ্যে ভাঙতে হবে বলে নির্দেশ দেয় পঞ্চায়েত। গৌতম বাবুর অভিযোগ, ‘বিজেপি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছে তাই সেটা তৃণমূল কিছুতে সহ্য করতে পারছে না। তবে আমাদের কাছে তৃণমূল ও বিজেপি কোনও ভেদাভেদ নেই। কেউ অসুস্থ হলে তাকে পরিষেবা দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’এ বিষয়ে বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদারের বলেন, বিজেপির পক্ষ থেকে অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে বলে ক্লাব ভেঙে ফেলার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এটা কি তালিবানি শাসন চলছে! আমি অনুরোধ করব সাধারণ মানুষের পরিষেবার সঙ্গে জড়িত বিষয় নিয়ে রাজনীতি না করাই ভালো।’ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান শেখ আব্দুল হাকিম অভিযোগ অস্বীকার করে মিথ্যে রটানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, যার জমিতে এই ক্লাব তৈরি করা হয়েছিল তার কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই ক্লাব সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে