কঙ্কালকাণ্ড, কেশপুর যারা করেছে, আজ তারা বিজেপির বড় রক্ষক: মেদিনীপুরের সভায় মমতা বললেন

 

    নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: শুভেন্দু সংঘাতের মধ্যে মেদিনীপুরের সভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় সরব কৃষকরা। আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস বারবার দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সদ্য মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করা শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে সভায় আবারও কৃষকদের আন্দোলনকেই সমর্থন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। কড়া ভাষায় বিঁধলেন বিরোধী বিজেপিকেও। তিনি বলেন, তাজপুরে গভীর বন্দরে ২৫ হাজারের কর্মসংস্থান হবে। তার জন্য খড়গপুর আইটি ইউনিট হবে মেদিনীপুর ছেলেরাও কাজ পাবে প্রচুর।খড়গপুর, মেদিনীপুরের ছেলেরা কাজ পায় যেন দেখতে হবে।

    পশ্চিম মেদিনীপুরের সব বিধায়করা এখানে এসেছেন।আমরা অতীতকে ভুলি না। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের মতো সভা। কত লোক বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন। কৃষকদের পাশে ছিলাম-আছি-থাকব। নবান্নের ধান ছুঁয়ে শপথ করলাম।আমি সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম-নেতাই ভুলিনি।আগামীকাল কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করছি
    কাল ব্লকে ব্লকে আন্দোলন হবে।ইতি মধ্যেই ঠিক হয়েছে 8 9 ও 10 তারিখ কলকাতা তে কৃষি আইন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে। তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দল ভাঙছ, ঘর ভাঙছ, কৃষি আইন প্রত্যাহার কর, নয়তো সরে যাও।নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণ মমতার। কঙ্কালকাণ্ড, কেশপুর যারা করেছে, আজ তারা বিজেপির বড় রক্ষক। কেশপুরে কত মানুষ কে খুন করেছ তার হিসাব নেই। চমকাইতলা তে সভা করতে গেলে কত বাস ভাঙচুর করা হয়েছে কর্মীকে মারধর করা হয়েছে তার ইয়াত্তা নেই। সিপিএম রক্ষক, বিজেপি ভক্ষক, কংগ্রেস তক্ষক, এরা বলে কিনা বাংলা চালাবে?বহিরাগতদের আমরা বাংলা দখল করতে দেব না,বহিরাগতরা এসেছে, টাকা বিলোচ্ছে, কোনওভাবে কিনতে পারবে না তৃণমূলকে। তিনি আরো বলেন টাকা রাখার বড় ব্যাংক হচ্ছে বিজেপি লুটেরাদের টাকা রাখার জন্য বড় আইডি কার্ড বিজেপি। কোন খবর সম্প্রচার হবে, সেটাও ঠিক করছে বিজেপি নেতৃত্ব। আমফান -ক্ষতিপূরণে টাকা দিয়েছ, যে হিসেব চাইছ?’
    বিজেপি বলছে হয় জেলে এসো, নাহলে ঘরে থাকো
    ,আমরা জেলে থাকতে ভয় পাইনা, তোমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করব না। বাংলা কোনওদিন গুজরাত হবে না।তোমার গুন্ডা আছে, তৃণমূলের মতো কর্মী নেই।সোনার ধান দিয়েই তোমাদের বিদায় দেব বাংলা থেকে।