আজ বিশ্ব জৈবজ্বালানী দিবস

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : আজ বিশ্ব জৈবজ্বালানী দিবস। জৈবজ্বালানী সংগ্রহ করা হয় জীবিত পদার্থের থেকে। জৈবজ্বালানীর মাধ্যমে শক্তির ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা বাড়ে, আমদানি খরচ কমে, অভ্যন্তরীণ কৃষির উন্নতি হয়।

    বিভিন্ন ধরনের জৈবজ্বালানী আছে, যেমন, গোবরগ্যাস, ইথানল, বায়োডিজেল। মানুষ ও বিভিন্ন প্রাণীর মল থেকে বায়োগ্যাস তৈরী হয়। এই বায়োগ্যাসের মাধ্যমে অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রিডের মাধ্যমে পাঠানো হয় জ্বালানী হিসেবে বা বিদ্যুৎ হিসেবে। আজকাল যানবাহনের জ্বালানী হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে এই গোবরগ্যাস।

    রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প চালাচ্ছে গোবর গ্যাস তৈরীর লক্ষ্যে যাতে করে বিদ্যুৎ হিসেবেও এই গ্যাস ব্যবহার করা যায়। সম্প্রতি গোবরগ্যাস উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকেও উৎসাহ প্রদান করছে রাজ্য সরকার।

    বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তি উৎস দপ্তরের অধীনস্থ ওয়েস্ট বেঙ্গল রিনিউয়েবেল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি গোবরগ্যাস উৎপাদনের দায়িত্বে আছে।

    গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ হিসেবে বায়োমাস ভিত্তিক গোবরগ্যাস উৎপাদন কেন্দ্র সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে চলেছে বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেমন সুন্দরবনের গোসাবা, ছোট্ট মোল্লাখালি, হেরেম্বো গোপালপুরে। এই কেন্দ্রগুলি চালায় ওয়েস্ট বেঙ্গল রিনিউয়েবেল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির তৈরী করা বিভিন্ন সমবায়।

    রান্নার জন্য গোবরগ্যাস উৎপাদনের কেন্দ্র আছে পুরুলিয়া জেলার রামগড়, কারুডোবা এবং বীরভূম জেলার ভুঁইফোঁড় অঞ্চলে।

    চাল কলে বিদ্যুৎ জোগান দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আছে অনেক জায়গায়। এগুলির দায়িত্বেও আছে ওয়েস্ট বেঙ্গল রিনিউয়েবেল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি।

    কলকাতায় দুবছর আগে একটি বেসরকারি সংস্থা একটি ৫৫ আসনের বাস চালায় গোবরগ্যাস্কে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করে। সারা দেশে এরকম পরিষেবা এই প্রথম।

    কলকাতা পুরসভাও একটি প্রকল্প চালায় যেখানে পুরসভার জঞ্জাল থেকে গোবরগ্যাস ও জৈব সার উৎপাদন হয়।