ঝাড়গ্রাম জেলার কুলটিকরির পাটাশোলে পরিবেশ দিবসে নানা কর্মসূচি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের কুলটিকরির পাটাশোল মাঠে অনুষ্ঠিত হলো পরিবেশ বিষয়ক নানা কর্মসূচি। এদিন বৃক্ষরোপন কর্মসূচির পাশাপাশি ভেষজ উদ্যানের সূচনা,পরিবেশ সচেতনতা মূলক আলোচনা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। কুলটিকরি এস সি হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গৌর সাধন দাস চক্রবর্তী, সুবীর কুমার মন্ডল, সর্বেশ্বর মহাপাত্র এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় হয়। এদিন প্রায় ১২০টি গাছের চারা লাগানো হয়,যার মধ্যে বেশিরভাগই ভেষজ উদ্ভিদ। এদিনের অনুষ্ঠানে কড়িয়াশোল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শমীক পাত্র ও তাঁর স্ত্রী মৌপ্রিয়া পাত্র তাঁদের কন্যা সানভীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে ৫০ জন শিশুর হাতে কিছু খাদ্য ও শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেন এবং চারা গাছ রোপনে অংশ নেন। এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষক সুজয় পাত্রও এদিন তাঁর ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে শিশুদের মধ্যে কিছু চকলেট বিলি করেন এবং কয়েকটি চারাগাছ রোপন করেন। উল্লেখ্য পরিবেশপ্রেমী শিক্ষক গৌরবাবুর উদ্যোগে প্রায় তিন বছর আগে আর্থ কেয়ার এন্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন নামের এই সংস্থাটি গঠিত হয়। মূলত পরিবেশ নিয়ে কাজ করা এই অরাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনটি এর আগেও প্রায় হাজার দুয়েক গাছ এই এলাকায় রোপন করেছে এবং সারা বছরই তার রক্ষণাবেক্ষণ করে। পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিকেলে একটি পাঠশালাও স্থাপন করেছে।

    আজকের এই অনুষ্ঠানটি পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সাঁকরাইল কেন্দ্র, সুবর্ণরৈখিক ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার গ্রূপ “আমারকার ভাষা আমারকার গর্ব ” প্রভৃতি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে আয়োজিত হলো। আজকের দিনের প্রাসঙ্গিকতা উপলক্ষে বলতে গিয়ে গৌর বাবু সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে গাছ লাগানোর জন্য এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেছেন। সামনের বৃষ্টির মরসুমে এই ভেষজ উদ্যানে ৩০ টি প্রজাতির ৮০০ টি ভেষজ উদ্ভিদ লাগানো হবে। সমাজের যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো উপলক্ষ্যে এখানে বনসৃজন কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেন। নূন্যতম একটি রক্ষণাবেক্ষন খরচ এর বিনিময়ে পৃথিবীর সামান্য অংশ যাতে আরো সবুজ আরো বিশুদ্ধ হয়ে উঠতে পারে সেই উদ্দেশ্যে ই কতিপয় পরিবেশপ্রেমীর এই উদ্যোগ।এই কর্মসূচিকে রূপায়িত করতে এগিয়ে এসেছেন পরিবেশপ্রেমী মানুষ ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।