অতিরিক্ত লম্বার কারণে চাকরি হারিয়ে মানসিক কষ্টে যুবক

আব্দুস সামাদ, জঙ্গিপুর: লম্বা যুবক যুবতীর কদর প্রায় সর্বত্রই। তাই লম্বা হাইট কে না চায়। এবার অমিতাভ বচ্চনের চাইতে আরো লম্বা বছর ২৯ সের এক যুবকের অনুসন্ধান মিলল। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে, নাম বাদশা খান। তার উচ্চতা ছয় ফিট ৪ইঞ্চি। বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ থানার জঙ্গিপুর পৌরসভা এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথপুরে। বিশাল দেহের এই জুবুক তার লম্বা হাইট নিয়ে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন। ওঠা বসা হাটা চলা, থেকে যানবাহন চলাচল করতে কার্যত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাকে। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়।তার এই বিশাল উচ্চতা সব থেকে বেশি তার কর্ম ক্ষেত্রেl তাঁর কর্ম ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে কাজ গিয়েও স্বছন্দে কাজ করতে না পারায় কাজ ছাড়তে হয়েছে একাধিকবার।কাজ করতে করতে পড়ে গিয়ে দুবার পাজরের হাড় ভেঙেছে ফলে অভাবের সংসারে জীবিকা নির্বাহ করতে কখনো গ্রামে গ্রামে ফেরি কখনো হোটেলে কাজ আবার কখনও সিকিউরিটির কাজ করেছেন এই যুবক, যদিও এখন কাজ হারিয়ে মনে কষ্ট নিয়ে জীবন অতিবাহিত করছেন।প্রথমে ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি ক্যামেরার দেখেই না করে দেন। শেষ মেষ বুঝিয়ে তবেই রাজি। কিন্তু তার বক্তব্য মনের কথা বলে কি হবে অভাবের সংসার,তারপরে দেহের দীর্ঘ উচ্চতা হওয়ার কারণে কাজ করতে না পারায় সংসার চালানোর দায় হয়ে উঠেছে তাই সরকারি বা কোন স্বহিদই ব্যক্তি যদি আর্থিক সাহায্য করেন তবে ভালো হয়।

    শরীরের গঠন কিভাবে এমন হলো? জানা গিয়েছে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হন ওই যুবক তারপর হরমোন জনিত সমস্যার কারণে হঠাৎ করে শরীরের বৃদ্ধি ঘটতে শুরু করে এবং অল্প সময়ের মধ্যে হাইট ৬ ফুট 4 ইঞ্চি তে পৌঁছায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও উচ্চতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।রোগের কারণে প্রত্যেক বছর উচ্চতা বাড়তে থাকায় রীতিমতো সমস্যায় ওই যুবক। আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী লম্বা এক যুবকের জীবন চিত্র তুলে ধরলাম। কিন্তূ সেই অসহায় যুবকের অভিযোগ স্থানীয় নেতা,নেত্রী ও রাজ্য সরকারের ওপরে প্রতিদিন তিনার শরীরে রয়েছে যন্ত্রণা লাগে অনেক টাকার ওষুধ,ঔষধ কিনতে কিনতে পরিশ্রান্ত। ভিটে মাটি টুকুই তার সম্বল পরিবারে রয়েছে মা,বাবা, ও তার সহদ্ধর্মিনি সকলেই নিরুপায়। রাজ্য সরকারের যে সাস্থস্যাথি কার্ড রয়েছে তা থেকে মেলে না কোনো সুবিধা বলে জানান ওই অসহায় যুবক। এমন কি জঙ্গিপুর বিধান সভার বিধায়ক, ও পৌর প্রশাসক সহ্ কোনো কো-অর্ডিনেটর এর কাছ থেকে কোন ধরনের আর্থিক সহযোগীতা এখন পর্যন্ত মেলেনি বলে জানান ওই যুবক।