এনআরসি নিয়ে মোদী-অমিতকে চ্যালেঞ্জ যৌনকর্মীদের

এনআরসি নিয়ে মোদী-অমিতকে চ্যালেঞ্জ যৌনকর্মীদের
নতুন গতি,ওয়েব ডেস্ক, ৫ জানুয়ারিঃ মোদী-শাহকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পথে নামল সোনাগাছির যৌনকর্মীরা। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিকপুঞ্জি আইনের প্রতিবাদে গোটা দেশ সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলনের ছায়া উঠে এসেছিল। এই আইনের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক মহল আন্দোলনে পথে নেমেছিল তো বটেই কিন্তু এবার এই আইনের প্রতিবাদ করতে পিছু হটল না সোনাগাছির যৌনকর্মীরা।
জানা গেছে, কিছুদিন আগে শহিদ মিনার থেকে উত্তরে আরএসএসের সদর দপ্তর কেশব ভবন পর্যন্ত সিএএ-এনআরসি, ট্রান্সজেন্ডার বিল-সহ একাধিক দাবিতে মিছিল করলেন শহরের প্রান্তিক মহিলা, রূপান্তরকামীরাও। দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যাঁরা ছোটবেলায় পাচার হয়েছেন তাঁরা কীভাবে নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণ করবেন? তাই রাস্তায় নেমেছে আমাদের মেয়েরা’।
দুর্বারের সম্পাদক কাজল বোস বলেন, ‘আমাদের অনেক মেয়েকেই ঘর ছাড়তে হয়েছে বাধ্য হয়। কেউ বাড়ির পথ ভুলেছেন। কারও জন্য আবার বাড়িতে ফেরার পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেকেরই কোনও সঠিক কাগজ নেই। কিছু মেয়েকে আমরা অনেক চেষ্টা করে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড বানিয়ে দিয়েছি। এখন সরকার যদি বলে সেগুলিও নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, তা হলে আমরা যাব কোথায়?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মতো প্রান্তিক মানুষদের ভোট নিয়ে মোদী ক্ষমতায় এসেছেন। তা হলে আমাদের নাগরিকত্বের প্রমান হিসেবে বিবেচিত হবে না কেন সেই কাগজ? আমরা এই বৈষম্যের প্রতিবাদ পথে নেমে করছি এবং ভবিষ্যতেও করব।’
অমিতবাবু আরও বলেন, এনআরসি হবেই। একলা হলেও আরোপিত হবে এনআরসি। চলবে না আধার ভোটারও। তাহলে কি চলবে? যা চাইছে সরকার সেই সব প্রমাণপত্র তো ওদের কাছে সত্যিই নেই। সেই কোন কালে কীভাবে সব কিছু হারিয়ে এসে পড়েছেন যৌনপল্লীতে তার ঠিক ঠিকানা নেই। তাহলে কীভাবে দেবেন পরিচয়? আর না দিতে পারলেই সংকটে ভুগছেন সোনাগাছির যৌনকর্মীরা। তাই এন আর সি’র বিরুদ্ধে পথে নামলেন কাজল বোসরা।
সম্প্রতি, ওরা বেশীরভাগই জানেন না কীভাবে এসে পড়েছেন শহরের যৌনপল্লীতে। নাম জানেন কিন্তু আসল পরিচয় কী? তা তাদের জানা নেই। তবু বহু বছর শহরের বাবুদের সুখ মিটিয়ে ওরাও এখন নাগরিক। কিন্তু সে সব মুখের কথায়। কেন্দ্রীয় সরকারের চাহিদা মাফিক আসল পরিচয় পত্র তো নেই শহরের যৌনকর্মীদের কাছে। তাই প্রতিবাদে পথে নামলেন শহরের যৌনকর্মীরা।