প্রশাসনের নাকের ডগায় বংশপরম্পরায় দোকানের মধ্যেই মোবাইল নার্সিংহোম খুলে জাল চিকিৎসকের রমরমা কান্ড।

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: আঁতকে ওঠা ছবি! একদিকে করণার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে সারা দেশ ও রাজ্যের জুড়ে ত্রাহি ত্রাহি রব। আর তারই মধ্যে সোমবার সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানা এলাকায় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাবন্দি হলো এক চরম বিপদজনক ছবি।

    দিব্যি ডাক্তার সেজে আস্ত রাস্তার পাশের ফুটপাতের ওপর কোনরকমে কাঠের টেবিল বেঞ্চ জোড়া লাগিয়ে মোবাইল ডাক্তার-খানা খুলে চলছে চিকিৎসা পরিষেবা। এখানেই শেষ নয়। রীতিমতো গ্রামের নানান ধরনের রোগীদের হাতের মধ্যে স্যালাইনের চ্যানেল করে দিয়ে শল্য চিকিৎসাও করা হচ্ছে। আশ্চর্যজনকভাবে পুরো ঘটনাই দিনের আলোয় প্রকাশ্যে হয়ে চলেছে স্থানীয় নসিপুর হাই স্কুল মোড় সংলগ্ন এলাকায় বছরের পর বছর ধরে । আর এই যাবতীয় বেআইনি কাজ কর্ম যিনি চালাচ্ছেন সেই স্বঘোষিত ভুয়া ডাক্তার এলাকায় মোঃ রশিদ খান নামে পরিচিত। যার কোনো রকম চিকিৎসাশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনো রকম বৈধ শংসাপত্র থেকে শুরু করে নথি কিছুই নেই বলেই অভিযোগ। আর এই সব কিছুই হচ্ছে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে খোলা রাস্তার ওপর মুখে কোনো রকমের মাস্ক, ফেস শিল্ড ছাড়াই।ফলে যেকোন মুহূর্তে হু হু করে করণা সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়া এলাকায় কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলেই স্থানীয়দের অভিযোগ। এলাকা সূত্রে জানা যায়, কোনরকমে বিএ পাস করা মোঃ রশিদ বংশপরম্পরায় বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে এলাকায় মুদিখানার দোকানের মত আকারের একটি ওষুধের দোকান চালিয়ে আসছে। এমনকি সেই দোকানে ড্রাগ লাইসেন্স তো দূরের কথা সামান্যতম ট্রেড লাইসেন্স পর্যন্ত নেই। এমত অবস্থায় এদিন সোমবার এলাকার বিডিও ওয়াসিদ খান এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ওই ভুয়া চিকিৎসকের দোকানে গিয়ে হানা দেয়। তারপরেই প্রাথমিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় এই বিপদজনক কাজ। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছান ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক উৎপল মজুমদার।পরবর্তীতে পুরো বিষয়টি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানানো হবে বলেই তারা জানান। স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় এইভাবে বিপজ্জনকভাবে চলে আসা জাল ডাক্তারি চালানোর ঘটনা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠছে।