বিজেপির সভা করার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই, একই মঞ্চে পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের সভা

নিজস্ব সংবাদদাতা : বিজেপির সভা করার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই, একই মঞ্চে পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের সভা করা নিয়ে বিজেপির সমালোচনা। গত ৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার, নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে বিজেপি রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জনসভা করা হয়। সেই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।এর ঠিক ২৪ ঘন্টার মধ্যে অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর বুধবার ওই একই মঞ্চে শুধুমাত্র ব্যানার পরিবর্তন করে, তৃণমূলের পাল্টা প্রতিবাদী জনসভা করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদী জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ। তৃণমূলের এই পাল্টা সভা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিজেপি।বিজেপির রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক অসীম বিশ্বাস তৃণমূলের প্রতিবাদী জনসভা করা নিয়ে সমালোচনা করে বলেন, শুধুমাত্র রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় ১০ হাজার বিজেপির কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। তিনটি জেলার লোক এখানে সমবেত হয়েছে। ব্যারাকপুর, বহরমপুর, কল্যাণী, হরিণঘাটা, গয়েশপুর, বাগদার মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। স্থানীয় কোনও মানুষ উপস্থিত ছিলেন না। শুধুমাত্র বহিরাগতদের এনে সম্মানীয় বিরোধী দলনেতার কাউন্টার করার জন্য এই সভা। কয়েক কোটি টাকা খরচ করেছে। এটা শুধুমাত্র ভয় নয়, বিজেপির এই জনস্রোত দেখে, বিজেপির উত্থান দেখে, তৃণমূল কংগ্রেস ভয়ে শঙ্কিত হয়ে এই সভার আয়োজন করেছে।যদিও বিজেপির এই অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ অবশ্য বলেন, ওদেরতো সবমিলিয়ে এগারোশো সাতচল্লিশ জন লোক ছিল। এখানে এসে তারা দেখুক, কত দূর থেকে কত মানুষ এসেছেন, স্থানীয় মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসেছেন। ফলে সেই জায়গায় ওদের ওই এগারোশো সাতচল্লিশ জন লোক এবং আজকের অন্ততপক্ষে ৮ থেকে ১০ হাজার, এ তুলনা করলেই বুঝতে পারবে।পরপর দুটি টার্মে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে থাকা রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রটি, গত ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ছিনিয়ে নেয় গেরুয়া শিবির। এরফলে অনেকটাই অস্বস্তিতে শাসক দল। নদিয়া জেলার ১৭ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে রয়েছে ৮টি এবং বাকি ৯টি আসন শাসকদলের দখলে। এখন দেখার আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক অথবা বিরোধী দল কতটা নিজেদের দখলে রাখতে পারে।