বৃহস্পতিবার ট্রেন অবরোধের কারণে ভোগান্তির শিকার বীরভূমের অন্ডাল রামপুরহাট রুটের যাত্রীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা : হাওড়া ডিভিশনে রেল লাইনে কাজ চলার কারণে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রেনের সংখ্যা এমনিতেই কম। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ট্রেন অবরোধের কারণে ভোগান্তির শিকার বীরভূমের অন্ডাল রামপুরহাট রুটের যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিট থেকে অবরোধ শুরু হয়েছে এবং সেই অবরোধ চলে চার ঘন্টার বেশি। দীর্ঘক্ষণ ধরে এমন ট্রেন অবরোধের ঘটনা ঘটেছে সদাইপুর থানার অন্তর্গত কচুজোড় রেল স্টেশনে। কচুজোড় রেল স্টেশনে এই রেল অবরোধকে ধীরে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে এই রুটে ট্রেন চলাচল।অবরোধ তুলে দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আরপিএফ এবং জিআরপি। তারা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে দেওয়ার চেষ্টা চালালেও দীর্ঘ চার ঘণ্টার বেশি পার হয়ে যায় অবরোধ তুলতে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার। মাঝপথেই তাদের দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ট্রেন ছাড়ার জন্য। এই অবরোধের কারণ হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কচুজোড় রেলস্টেশনের কাছে তারা রাস্তা পারাপারের জন্য যে পথ আগে ব্যবহার করতেন সেই পথ রেলের তরফ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।রেলের তরফ থেকে সেই পথ বন্ধ করে এলাকার মানুষদের যাতায়াতের জন্য একটি আন্ডারপাশ করা হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি হলেই সেই আন্ডারপাশে জল জমে যায়। গত দুদিনের বৃষ্টিতে সেই আন্ডার পাশে এখন এক গলা জল জমে রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সোজা পথে না যেতে পারায় ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঘুরপথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সময় লাগছে।এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষেরা অসুবিধার সম্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে স্কুলের পড়ুয়ারাও। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান হবে ততক্ষণ তারা অবরোধ চালিয়ে যাবেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বাস দেন, আপাতত জল ছড়ানোর জন্য পাম্পের ব্যবস্থা করা হবে এবং ১০ দিনের মধ্যেই কোন সুরাহা করা হবে। রেলের আশ্বাসের পরই স্থানীয় বাসিন্দারা অবরোধ তুলে নেন।