মহা বারুণী স্নান উপলক্ষে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রায় ৩০ হাজার মতুয়া ভক্তবৃন্দ শান্তিপুর থেকে ঠাকুরনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন

নিজস্ব সংবাদদাতা :  ঠাকুরনগরের মতুয়া সম্প্রদায়ের  মহা বারুণী স্নান  খুবই বিখ্যাত। নদিয়া জেলায় রয়েছে একাধিক মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। মহা বারুণী স্নান উপলক্ষে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রায় ৩০ হাজার মতুয়া ভক্তবৃন্দ শান্তিপুর থেকে ঠাকুরনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। মতুয়া সম্প্রদায়ের এক বিশেষ দিন মহা বারুণী স্নান। আর এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আপামর মতুয়া ভক্তবৃন্দ বিভিন্ন জেলা থেকে ঠাকুরনগরের  উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।সেরকমই নদিয়ার শান্তিপুর রেল স্টেশনে দেখা গেল প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মতুয়া ভক্তবৃন্দ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে ঠাকুরনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। রীতিমতো বাজনা বাজিয়ে ঠাকুরের নাম করতে করতে স্টেশন চত্বর সরগরম করে তুললেন তারা। আট থেকে আশি, মহিলা, শিশু সবাই ঠাকুরের নাম গান করতে করতে শান্তিপুর স্টেশনকে এক মিলন ক্ষেত্রে পরিণত করে তুললেন। শান্তিপুর রেল স্টেশনে সকাল থেকেই তাদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো ছিল, যত সময় এগোচ্ছে ততোই ভক্তবৃন্দদের উপস্থিতি বেড়েই চলেছিল স্টেশন চত্বরে। রীতিমতো ট্রেনে উঠে বাজনা বাজাতে বাজাতে ঠাকুরনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হতে দেখা গেল তাদের ।আজ স্টেশন চত্বরে এই জনসমাগম কেন্দ্র করে রেল পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। যাতে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে তৎপর ছিল রেল পুলিশ। শান্তিপুর স্টেশনের এক নম্বর এবং দুই নম্বর প্লাটফর্ম জুড়ে মতুয়া ভক্তবৃন্দদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বছরে একটি দিন হরিচাঁদ গুরুচাঁদ এর বাড়ি অর্থাৎ ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে তারা গিয়ে নাম গানে ব্রতী হন, তবে এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মতুয়া সম্প্রদায়ের ভক্তবৃন্দদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা জানাচ্ছেন, অনুষ্ঠানের পর ঠাকুরবাড়িতে মহাপ্রসাদ বিতরণ হয়, তারপরেই এই অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। তবে আজ মতুয়া সম্প্রদায়ের এহেন জনসমাগম শান্তিপুর রেলস্টেশনকে মহামিলন ক্ষেত্রে পরিণত করে।