|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার মারপিটের বিতর্কের পর আবারও অশান্তি জলপাইগুড়ির বানারহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। এবার পরিচালন সমিতির সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বিবাদের জেরে বেতন বন্ধ হয়ে গেল অস্থায়ী কর্মীদের। তা নিয়েই শুরু হয় বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার স্কুল গেটের সামনে ধর্নায় বসে পড়েন অস্থায়ী কর্মীরা। এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে ইতিমধ্যেই পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে ওই বিদ্যালয়ে।অভিযোগ, স্কুলের ব্যাঙ্ক অপারেটর বদল না হওয়ায় গত ছয় মাস ধরে বেতন পাচ্ছিলেন না চুক্তি ভিত্তিক ক্যাজুয়াল কর্মীরা। এদিন বেতনের দাবিতে তারা বানারহাট উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। ক্লাস ও স্টাফরুম না খোলায় এই তীব্র গরমে সাড়ে দশটা থেকে এক ঘন্টারও বেশি সময় বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন শিক্ষিকারা ও ছাত্রীরা।স্কুল সূত্রের খবর, প্রায় সাত মাস আগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা উৎসশ্রীর মাধ্যমে বদলি নেন। সেই সময় বিদ্যালয়েরই শিক্ষিকা অঙ্কিতা সেন টিচার-ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। এরপর ব্যাঙ্কের অপারেটর বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ম্যানেজিং কমিটির মিটিংয়ে।অভিযোগ, এই সময়ে বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি পায়েল মল্লিক এবং শিক্ষানুরাগী সদস্য বলরাম দুলুই বিদ্যালয়ে ঢুকে টিচার ইন চার্জ সহ তিন জন শিক্ষিকাকে মারধর করে।এরপর থেকেই বিদ্যালয়ে শুরু হয় জটিলতা। যা নিয়ে শিক্ষিকারা প্রশাসনের দ্বারস্থও হয়েছেন। বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষিকা লিখিত ভাবে S.I & D.I of School কে পরিচালন সমিতির সদস্যদের অপসারন চেয়ে লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন। বানারহাট থানাতেও লিখিত অভিযোগ দায়ার হয়েছে।এরপরও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ। বিদ্যালয়ের এই পরিচালন সমিতির সভাপতির আপত্তিতে অপারেটর বদল না হওয়ায় ক্যাজুয়াল কর্মীদের বেতন আটকে রয়েছে। সেই অভিযোগেই এদিন অস্থায়ী কর্মীরা শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দেন। যদিও পরে বানারহাট থানার পুলিস এসে দরজা খুলে দেয়। তবে, ক্লাসরুম খুলে দিলেও পরিচালন সমিতির সভাপতি অস্থায়ী কর্মীদের সঙ্গে বিদ্যালয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। তাদের দাবি প্রধান-শিক্ষিকাকে অপসারণ করতে হবে।