|
---|
মালদা, ১২ সেপ্টেম্বর: প্রতিদিনই নতুন নতুন বিতর্কে সরগরম হয়ে উঠছে ইংরেজ বাজার পুরসভা চত্বর। তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরদের মধ্যে ঝগড়ার ফলে অচলাবস্থা পুর পরিষেবাতে। এবার পুরপতি নীহাররঞ্জন ঘোষের উদ্যোগে ‘কন্যাশ্রী পার্ক’ তৈরির ক্ষেত্রে আর্থিক কেলেঙ্কারি অভিযোগ তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলররা। যদিও পুরপতি নীহাররঞ্জন ঘোষ জানান, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের কন্যাশ্রী প্রকল্প বিশ্বের দরবারে স্থান পেয়েছে। সেই প্রকল্প কন্যাশ্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তাই ইংরেজবাজার পুর এলাকার আট নং ওয়ার্ডে মেয়েদের বিদ্যালয় বার্লো বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। এই পার্ক তৈরি করতে আর্থিক দূর্নীতি করা হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলররা মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।’’
তিনি আরও জানান, এই পুরবোর্ডে অনেক কাজই বোর্ড অব কাউন্সিলরদের অনুমোদন ছাড়া হয়েছে। তখন কেন প্রশ্ন তোলা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’র নামে তৈরী পার্ক নিয়ে কেন বির্তক করছেন তা বুঝতে পারছেন না।
পুর এলাকার আট নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরীর অভিযোগ, ৫০ লক্ষ টাকা খরচে এই পার্ক তৈরি করা হয় তাঁর ওয়ার্ডে। কিন্তু তিনি কিছুই জানেন না। পুরপতি তাঁকে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরদের অন্ধকারে রেখে তৈরি করেছেন এই পার্ক। যাতে পার্কের নাম করে অর্থ নয়ছয় করার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা না হয়। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের এমন অভিযোগে সহমত পোষণ করেছেন, উপ-পুরপতি দুলাল চন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশ সত্ত্বেও পুরসভার অর্থনৈতিক ক্ষমতা এখনও তাঁকে হস্তান্তর করেননি পুরপতি। ফলে আর্থিক দুর্নীতি ঘটেছে কার্যত তা স্বীকার করে নেন তিনি।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরদের মধ্যে এমন কাদা ছোড়াছোড়ি উপভোগ করছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘টাকার ভাগের বখরা নিয়ে এমন ঝগড়া তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরদের মধ্যে। ভাগ পেলে সব মিটে যাবে। আপতত ঝগড়াটা উপভোগ করাই বিজেপির লক্ষ্য। বিষয়টি নিয়ে মাথাব্যথা করা নয়।’’