|
---|
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদাঃ তৃণমূলের এক গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যকে ভোজালি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচক থানার আলীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজার এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জখম পঞ্চায়েত সদস্যকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাতে। ঘটনার জেরে জোর চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহত ব্যক্তির নাম ফরিদুল ইসলাম ওরফে ফিটু(৩২)। তিনিজোতপরম গ্রামের বাসিন্দা।তিনি আলীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য।পঞ্চায়েতের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন তিনি।অভিযুক্ত মাইদুর শেখ তিনিও একই পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বুধবার রাত ৯ টা নাগাদ বাজার এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্যদের মাঝে বিবাদ শুরু হয়।পঞ্চায়েত কাজ নিয়ে তর্কবিতর্ক চলছিল।সেই সময় হাতাহাতি শুরু হয়। অভিযোগ, এরপরই পঞ্চায়েত সদস্য ফরিদুল ইসলাম ওরফে ফিটুকে এলোপাথাড়ি ভোজালি দিয়ে কোপ মারে ওপর পঞ্চায়েত সদস্য মাইদুর শেখ সহ তার দলবল।চিৎকারে গ্রামবাসীরা ছুটে আসতেই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য মাইদুর শেখ সহ তার দলবল। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা আক্রান্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে সিলামপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে আসে ।আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্যের গলায় ,মাথায় ,বুকে, পেটে সহ শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত গুরুতর থাকায় চিকিৎসকেরা স্থানান্তরিত করে দেন মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।সেখানেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চলছে তার চিকিৎসা।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানাগেছে,১৭ টি আসন বিশিষ্ট আলীনগর গ্রাম পঞ্চায়েত।গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ১৪ টি , বিজেপি ২ টি ও কংগ্রেস ১ টি আসন পায়। তবে সকল সদস্যই তৃণমূলে চলে আসায় বিরোধী শুন্য পঞ্চায়েত গঠন করে তৃণমূল।দশ জন সদস্যের সম্মতিতে প্রধান হয় রুমি বিবি।তারপর থেকে দুটি গোষ্ঠী হয়ে যায় পঞ্চায়েত সদস্যরা।দুই গোষ্ঠীতে পঞ্চায়েতে দ্বন্দ্ব চলছিলোই।তবে এদিন সেই লড়াই বহিঃপ্রকাশ হয়।পঞ্চায়েতের কাজ নিয়েই গন্ডগোল বলেই মনে করছে পঞ্চায়েত নেতৃত্ব।
স্থানীয় বাসিন্দা লিয়াকত আলী জানান,পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে ফিটু মেম্বারকে কুপিয়েছে মাইদুর। আমরা তড়িঘড়ি তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাই। গোটা শরীরে কোপানো হয়েছে ভোজলি দিয়ে।
ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধান রুমি বিবির স্বামী তথা অঞ্চল তৃণমূল নেতা এজাজুল হক জানান,পঞ্চায়েতের কাজ সমস্ত সদস্যের সম্মতিতে হয়।দলেরই সদস্যকে কেন কোপালো অপর এক সদস্য তা আমার জানা নেই।পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে গন্ডগোল হওয়ার কোনো কারণ নেই।সব সংসদেই কাজ হচ্ছে।আমি বিষয়টি দলের জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।