|
---|
মোল্লা জসিমউদ্দিন : বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে এক শীর্ষ আমলার বিরুদ্ধে ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ ওই শীর্ষ আমলা কে আজ অর্থাৎ শুক্রবারের মধ্যে বিশেষ তদন্তকারী দলের সামনে হাজির হতে নির্দেশ জারি করেছে।এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পুলিশ কে এই মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশ রয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের অধীনে থাকা আন্দামান – নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সার্কিট বেঞ্চে। দাখিল মামলায় অভিযোগ উঠেছে যে, সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে এক তরুণীকে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মুখ্যসচিবের বাংলোয় হাজির করেছিল দালালেরা। মুখ্যসচিব এবং শ্রমসচিব, এক হোটেল মালিক এবং একজন পুলিশ অফিসার মিলে দু’দিন ধরে ধর্ষণ করেন সেই তরুণীকে বলে অভিযোগ । গুরতর এই অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে আন্দামানে। দ্বীপপুঞ্জের পোর্ট ব্লেয়ারের একটি থানায় তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় আদালত একটি বিশেষ তদন্ত দল বা সিট গঠন করে থাকে । মুখ্যসচিবকেও পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন আন্দামান নিকোবরের উপ-রাজ্যপাল। তবে অভিযুক্ত শীর্ষ আমলা তদন্তে অসহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যসচিবের মতো শীর্ষ পদাধিকারীর বাংলোয় এমন ভয়াবহ ঘটনা তাক লাগিয়ে দিয়েছে আমলা মহল কে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্ট সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ওই অফিসারকে আজ অর্থাৎ শুক্রবারের মধ্যে সিটের সামনে হাজির হতে নির্দেশ জারি করেছে। পাশাপাশি দ্রুত তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দাখিল করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, দিল্লি হাইকোর্ট আগেই ওই অফিসারের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে থাকে । কলকাতা হাইকোর্ট ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সেই আদেশ ( দিল্লি হাইকোর্টের আদেশ) বহাল রেখেছে। আগামী ১৪ নভেম্বর পোর্ট ব্লেয়ারে কলকাতা হাইকোর্টের আন্দামান-নিকোবর সার্কিট বেঞ্চে শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে । আদালত সুত্রে প্রকাশ, অভিযুক্ত ওই অফিসারের নাম জিতেন্দ্র নারায়ণ ।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে ওই অফিসারকে আপাতত সাময়িক সাসপেন্ড করা হয়েছে। গত ২০২১-এর মার্চ থেকে জিতেন্দ্র নারায়ণ আন্দামান ও নিকোবরের মুখ্যসচিব ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, – ‘ মুখ্যসচিবের পোর্ট ব্লেয়ারের সরকারি বাংলোয় তরুণীকে সরকারি চাকরির লোভ দেখিয়ে আনা হয়। সেখানে চারজন মিলে দু’দিন ধরে ধর্ষণ করে থাকে ‘। স্থানীয় থানার পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করলেও শীর্ষ পদাধিকারী হওয়ায় জিতেন্দ্র নারায়ণকে গ্রেফতার করা হয়নি। মুখ্যসচিব এর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর অভিযুক্ত আমলা দিল্লির বাড়িতে চলে যায়।এর ফলে সিটের তদন্ত বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির বিবেক চৌধুরী এবং প্রসেনজিত্ বিশ্বাস এর ডিভিশন বেঞ্চ জিতেন্দ্র নারায়ণ কে তাঁর আইনজীবী মারফত নির্দেশ দিয়েছে – ‘আজ অর্থাৎ শুক্রবারের মধ্যে সিটের সামনে হাজির হতে হবে জিতেন্দ্র নারায়ণ কে’।এর পাশাপাশি পুলিশ কে দ্রুত তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দাখিল করার নির্দেশ রয়েছে। আগামী ১৪ নভেম্বর আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সার্কিট বেঞ্চে শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।