|
---|
লুতুব আলি : ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবসের দিন আন্তর্জাতিক ক্ষুধা সূচকে ভারত ১০৭ তম স্থানে জায়গা পাওয়ার খবর প্রকাশিত হওয়ায় বাগনানের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ লাইফ ফাউন্ডেশন উদ্বেগ প্রকাশ করে। এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি এদিনই হাওড়ার বাগনানের বাঙাল পুরে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন করল। সংগঠনটির কর্ণধার চন্দ্রনাথ বসুর নেতৃত্বে এই গ্রামের দামোদর নদের তীরবর্তী জমিতে কৃষকদের কাস্তে, গামছা, ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধিত করলেন। উল্লেখ্য, গ্লোবাল হাংগার ইনডেক্সে পৃথিবীর অনেক পিছিয়ে পড়া দেশ গুলির পেছনের সারিতে ১০৭ নাম্বারে ভারতের জায়গা হওয়ায় দেশের মাথা হেঁট হয়ে গেল বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। এক প্রকার সরকারি উদাসীনতার ফলেই ব্যাংকের দিক থেকে ভারত ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। হাঙ্গেরির প্রাক্তন কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী ড: রোমানীর উদ্যোগে বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপন শুরু হয় ১৯৭৯ সালে। অপুষ্টি, ক্ষুধা এবং খাদ্য উৎপাদন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি মাধ্যম হয়ে ওঠে। বিশ্বের ১৫০ টি দেশ কে নিয়ে সরকারিভাবে ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলি নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন এ ব্যাপারে ভারতের উদাসীনতার ফলেই দেশ এই দুর্দশার শিকার হচ্ছে। জন্ম থেকে শিশুদের সুষম খাদ্য ব্যবস্থা বন্টন করলে ভারতের বিপর্যস্ত অবস্থা সামাল দিতে পারে। অন্যভাবে সচেতনতা অবলম্বন করতে গেলে রান্নাঘর, হোটেল, রেস্তোরাঁ, ক্যাটারিং গুলিকে অবহিত করতে হবে যাতে অতিরিক্ত খাবার তৈরি করে নষ্ট না হয়। এই অতিরিক্ত নষ্ট খাবার গুলি যেখানে সেখানে ফেলে দিলে তা থেকে পরিবেশ দূষণ করে মিথেনের মতো মারাত্মক গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন হয়ে পরিবেশকে বিনষ্ট করছে। এ ব্যাপারে বাগনানের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি ক্রমাগত সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে চন্দ্রনাথ বসু র প্রতিক্রিয়া : ভারতের এত সম্ভাবনার সত্ত্বেও খাদ্যসূচক এ ভারত তলানিতে চলে যাওয়ায় মাথায় হেঁট হয়ে গেল। সংগঠনটি পক্ষ থেকে এদিন বিশেষভাবে কৃষকদের সম্মাননা দেওয়া হয়। চাষী মানিক মন্ডল, মহাদেব বোধক এই বিরল সম্মাননা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। বাগনান কৃষি কল্যাণ সমিতির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রঞ্জিত মাইতি, মইনুদ্দিন বেগ, সৈকত খাঁড়া প্রমুখ।উল্লেখ্য, ফেলে দিতে যাওয়া খাবার সংগ্রহ করে দুস্থ মানুষদের বিতরণ করে থাকে বর্ধমানের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বর্ধমান ফুডিজ ক্লাব। বর্ধমান ফুডিজ ক্লাবের পক্ষ থেকে নীলাক্ষির সিনহা ব্যানার্জি জানান, তাঁদের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে দেড় লক্ষাধিক। বিভিন্ন জায়গা থেকে অতিরিক্ত খাবার সংগ্রহ করে দীর্ঘদিন যাবত তারা দুস্থ মানুষদের বিলিয়ে দেন। এই সংগঠনটির মতো যাতে অন্যান্যরাও এই কাজ করেন তাহলে দেশের এই দুরবস্থার খানিকটা সামাল দেয়া যেতে পারে।