|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : ফুলিয়া তথা গোটা নদিয়া জেলাতেই বীরেন কুমার বসাককে সকলেই চেনেন। তাঁতের শাড়িতে অভূতপূর্ব বিপ্লব এনেছেন স্বয়ং তিনি। বাংলার তাঁতের শাড়িকে তিনি নিয়ে গেছেন বিশ্ব দরবারে। তার বানানো তাঁতের শাড়ি উপহার পেয়ে প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। একটি রিয়েলিটি শো তে তিনি সৌরভ গাঙ্গুলীকে দেখান তার কালেকশনের বেশ কয়েকটি লাখ টাকা দামের শাড়ি। একাধিক ঋষি মুনির ছবি তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন তার শাড়িতে। তাঁতের বিভিন্ন শাড়িতে নিখুঁত হাতের কারুকার্যই বীরেন বাবুর ইউএসপি! কখনও রবীন্দ্রনাথ, কখনও স্বামী বিবেকানন্দ, কখনও বা গান্ধীজী, বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের ছবি তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন তার শাড়িতে। আজ সনামধন্য বৈজ্ঞানিক ডক্টর এ.পি.জে আব্দুল কালামের তিরোধান দিবস। তাঁকে সম্মান জানাতেই তাঁর অবয়ব ফুটিয়ে তুলেছেন বীরেনবাবু নিজের শাড়িতে। নিখুঁত হাতের কাজে অবিকল স্যার এপিজে আব্দুল কালামের ছবি দেখা যাচ্ছে তার শাড়ির ওপরে। ইতিমধ্যেই এই শাড়ির ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতে শুরু করে দিয়েছে।উল্লেখ্য, এপিজে আবদুল কালাম যার পুরো নাম আভুল পাকির জয়নুলাবেদিন আবদুল কালাম একজন ভারতীয় পরমাণু বিজ্ঞানী ছিলেন যিনি ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি (২০০২ – ২০০৭) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর জন্ম বর্তমান ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে। তিনি পদার্থবিদ্যা বিষয়ে সেন্ট জোসেফস কলেজ থেকে এবং বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা (এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) বিষয় নিয়ে মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে পড়াশোনা করেছিলেন।চল্লিশ বছর তিনি প্রধানত রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন (ডিআরডিও) ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন। ভারতের অসামরিক মহাকাশ কর্মসূচি ও সামরিক সুসংহত নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মহাকাশযানবাহী রকেট উন্নয়নের কাজে তার অবদানের জন্য তাকে ‘ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মানব’ বা ‘মিসাইল ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ বলা হয়।১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পরমাণু বোমা পরীক্ষায় তিনি প্রধান সাঙ্গঠনিক, প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন।এটি ছিলো ১৯৭৪ সালে স্মাইলিং বুদ্ধ নামে পরিচিত প্রথম পরমাণু বোমা পরীক্ষার পর দ্বিতীয় পরমাণু বোমা পরীক্ষা।২০০২ সালে কালাম তৎকালীন শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি ও বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পাঁচ বছর এই পদে আসীন থাকার পর তিনি শিক্ষাবিদ, লেখক ও জনসেবকের সাধারণ জীবন বেছে নেন। ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছিলেন কালাম।