|
---|
কান্দী বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থী অপূর্ব সরকার
জৈদুল সেখ, কান্দী : কান্দী বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থী কে হবে এই নিয়ে চলছিল দীর্ঘ্য জল্পনাকল্পনা, তার মধ্যেই তৃণমূল কর্মীদের একাংশের মুখে শোনা যাচ্ছিল কখনো সুকান্ত ত্রিবেদীর নাম কখনো প্রাক্তন আই পি এস হুমায়ুন কবীরের নাম। কিন্তু সব জল্পনাকল্পনা অবসান ঘটালেন তৃণমূল সুপ্রিমো নিজেই। শুক্রবার কালীঘাট থেকে তৃণমূলের সমস্ত পার্থীর নাম ঘোষণা করেন। কান্দী থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে লড়াই করবেন অপূর্ব সরকার (ডেভিড), ভরতপুর থেকে হুমায়ুন কবীর, বড়ুয়া থেকে জীবনকৃষ্ন সাহা, খড়গ্রাম থেকে আশিষ মার্জিত।
প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর অপূর্ব সরকার প্রতিক্রিয়ায় জানান যে ” মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর মমতা ব্যানার্জী সারা রাজ্যের সঙ্গে কান্দীতে মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছেন, তিনার উন্নয়ন এবং মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে এবারের বিধানসভায় বিপুল ভোটে জয়ী হব ”
বর্তমানে বাম কংগ্রেস এবং আই এস এফ যুক্ত হয়েছে তাতে তৃণমূলের ভোটে কতটা প্রভাব পড়বে এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন
” কান্দীতে আইএসএফের কোনো প্রভাব নেই আমাদের লড়াই হবে মুলত বাম-কংগ্রেস এবং বিজেপির সঙ্গে ”
উল্লেখ্য তিনবারের কংগ্রেস বিধায়ক হিসাবে কান্দীতে পরিচিত মুখ অপূর্ব সরকার দল বদল করে তৃণমূলের যোগদান করে গত লোকসভায় তৃণমূলের পার্থী হয়ে লড়াই করে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কাছে পরাজিত হয়।
কান্দীর বাম কংগ্রেস জোটের বিধায়ক সফিউল্ আলম খান বলেন ” পার্থী যেই হোক আমরা সে বিষয়ে চিন্তিত নই, আমরা সারা বছর মানুষের হয়ে লড়াই সংগ্রাম করেছি এবং করছি সুতরাং মানুষ গত বিধানসভার মতো এবারও বাম কংগ্রেস জোটকেই ভোট দিবেন। ”
তবে এলাকার মানুষের দাবী তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে গত বিধানসভা উপনির্বাচনে হেরেছিল, সেই গোষ্ঠী কোন্দল থামাতে না পারলে বাম কংগ্রেস জোট জয়ী হবে। এখন দেখার বিষয় জোট পার্থী নাকি তৃণমূল নাকি বিজেপি শেষ হাঁসি হাঁসবে মানুষের রায়ে ২মে।