নারী শক্তি সুপর্ণা কণ্ঠ

নারী শক্তি সুপর্ণা কণ্ঠ

     

     

     

     

    বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : ছোটো থেকে একটাই স্বপ্ন ছিলো মানুষের সেবা করার। অবহেলিত ,বঞ্চিত, শোষিত, নিপীড়িত, লাঞ্ছিত মানুষের পাশে থাকার, বিশেষত নারী শিক্ষা এবং নারী স্বাস্হ্য নিয়ে কাজ করার প্রবণতা। সুযোগ এসে ছিলো জীবনে, কিন্তু সমাজ সেবাকেই বেছে নিতে আজ এখানে। সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করার পরেই জামতলা হাসপাতালে অন্বেষা কাউনসেলর হিসাবে কাজে নিযুক্ত হয় । অন্বেষা ক্লিনিকে কিশোর , কিশোরীরা তাদের কৈশোর কালের বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা নিয়ে আসে এবং কাউন্সেলর তাদের সুপরামর্শ দানের মাধ্যমে ,চলার পথ দেখায়।

    বেহালা থেকে কুলতলী আনুমানিক পঞ্চাশ কিলোমিটার । এগারো বছর রোজ জাতায়াত করা। কাজের শেষে খুবই আনন্দ পেতেন ।কিশোর-কিশোরীরা আমার কাছে মনের কথা বলতে পারে।, আমাকে মায়ের মতো ভরসা করে ।

     

    এইভাবেই বিগত ১২ বছর ধরে কুলতলীর কিশোর , কিশোরী, অসহায় নিপীড়িত স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা, অনাথ কিশোরী, থ্যালাসেমিয়া, ক্যানসারে আক্রান্ত , প্রতিবন্দ্ধী সহ আরও যে মেয়েদের সমাজ কটু কথা বলে, খারাপ নজরে দেখে তাদের পাশে থাকা। বাঘের আক্রমণ নিহত ও আহত, আদিবাসী ও সংখ্যা লঘুদের পরিবারের কিশোরী ও মহিলাদের নিয়ে তার স্বপ্ন । এই সমাজে তারা মাথা তুলে দাঁড়াতে লিখুক এটাই চায় । আজ সারা কুলতলীর মেয়েরা যাকে এক নামে চেনে, সেই সবার প্রিয় সুপর্ণা দি জীবনের একটাই লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নারী শক্তিকে জাগ্রত করা, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ এবং নারীদের সাবলম্বী করা। মেয়েরা – ছেলেদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে এটাই তার আশা । সত্যকেই বাস্তবে রপায়িত করতে হবে।

    দুবার ট্রান্সফার অর্ডার হয়ে যাওয়া সত্বেও কুলতলীর কিশোর , কিশোরীরা তাদের প্রিয় দিদিকে যেতে দেয় নি। আগামী দিনে প্রতিটি পরিবারে এমন নারীর দেখা মিলুক সেই আশায় ।