নিজের ওয়ার্ডেই ভোট দিতে পারলেন না বিজেপি নেতা অর্জুন সিং

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: যত কাণ্ড ভাটপাড়ায়। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ। ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে এদিন পথে নামেন অর্জুন সিং। তৃণমূল সমর্থকরা তাঁকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ। মুহূর্তে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। শেষমেশ পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। শুধু তাই নয়, জীবনে এই বোধ হয় প্রথম। খাস নিজের তালুকেই ভোট দিতে পারলেন না দাপুটে এই রাজনীতিবিদ। কারণটা অবশ্য ভিন্ন। ভাটপাড়ার ১৭ নং ওয়ার্ডের ভোটার অর্জুন সিং। তাঁর ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থীই নেই। স্বভাবতই ভোট দিতে না পারার আক্ষেপ বিজেপি নেতার গলায়।

    পুরভোটেও অশান্তি এড়ানো গেল না ভাটপাড়ায়। এদিন ভোট শুরুর কিছু পরেই শুরু হয় গন্ডগোল। বিজেপির অভিযোগ, বুথে বুথে দেদার ছাপ্পা ভোট চলছে, যদিও শাসকদল সেই অভিযোগ উড়িয়েছে। এদিন ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ পেয়েই অনুগামীদের নিয়ে পথে নামেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। অর্জুন পথে নামতেই উত্তেজনা বাড়ে। অভিযোগ, তাঁকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে বেশ কিছু তৃণমূল সমর্থক। মুহুর্তে উত্তপ্ত হয় গোটা এলাকা।

    পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী নামে। লাঠি উঁচিয়ে বেশ কয়েকজনকে তেড়ে যান পুলিশকর্মীরা। এদিকে, পুলিশের সঙ্গেও তুমুল তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায় অর্জুন সিংয়ের। তৃণমূলের বেশ কিছু সমর্থক অর্জুন সিংয়ের কাছে চলে আসতেই পাল্টা তৎপরতা নেয় পুলিশ। লাঠিচার্জ করে গোটা এলাকা থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। শেষমেশ পুলিশি ঘেরাটোপে এলাকা ছাড়েন অর্জুন।

    পরে অর্জুন সিং বলেন, ”ভোট যেভাবে হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে গণতন্ত্রের বদলে মমতাতন্ত্র চলছে রাজ্যে।” অন্যদিকে, এই প্রথমবার বোধ হয় নিজের খাসতালুকেই ভোট দিতে পারলেন না অর্জুন সিং। তা নিয়ে বেশ আক্ষেপও রয়েছে তাঁর।‌ ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার অর্জুন সিং। এই ওয়ার্ডে এবার বিজেপির প্রার্থী ছিলেন সৌরভ সিং। সৌরভ সম্পর্কে অর্জুন সিংয়ের ভাইপো।

    কিন্তু ভোটের ঠিক কয়েকদিন আগে বিজেপির মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন সৌরভ সিং। তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির কোনও প্রার্থী নেই। তাই এবার আর ভোট দেওয়া হল না অর্জুন সিংয়ের। আক্ষেপের সুরে বিজেপি নেতা বললেন, ”জীবনে এই প্রথমবার ভোট দিতে পারলাম না। খুব খারাপ লাগছে। গদ্দারের জন্যই আমার ভোট দেওয়া হল না।”