যুদ্ধের ৪ দিন পার হলেও এখনও উত্তাপ বেড়েই চলেছে ইউক্রেনে

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ৪ দিন পার হলেও এখনও উত্তাপ বেড়েই চলেছে। ক্রমশই যুদ্ধ-বিধ্বস্ত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ইউক্রেনে। রুশ কামান আর ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তছনছ মাথা গোঁজার ঠাঁই। রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে কিভ, খারকিভ, ওডেসার মতো শহর। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র–ট্যাঙ্ক–গুলির সামনে দাঁতে দাঁত চেপে লড়ছে গোটা ইউক্রেন। এই পরিস্থিতিতে ক্রমশই মৃত্যু বাড়ছে ইউক্রেনে।

    রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে যে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে ইউক্রেনে ৬৪ জন সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়াও ২৪০ জন সাধারণ মানুষই নিহত হয়েছে এখনও পর্যন্ত।  যদিও ইউক্রেনীয় সেনার স্পেশাল ইউনিটের প্রায় ২০০ সৈনিক তাদের হাতে মারা গিয়েছে বলে জানাল রাশিয়া। একই সঙ্গে ইউক্রেনের মাটিতে গড়ে ওঠা ২১১টি সামরিক পরিকাঠামো তারা ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে বলেও জানান হয়েছে।

    শুক্রবার সকালেই রাশিয়া জানিয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের মাটিতে গড়ে ওঠা ১১৮টি সামরিক পরিকাঠামো গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। কিন্তু রাতে দ্বিতীয় দিনের হিসেব নিকেশ দিতে গিয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ইগর কোনাশেঙ্কভ জানান, সারা দিনে আরও ৯৩টি সামরিক পরিকাঠামো গুঁড়িয়ে দিয়েছে তাঁদের সেনা। সেনা অভিযানের শুরুতেই চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্র দখল করে নেয় রাশিয়া। তার দুই ধারের সেনা শিবিরও এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। সেখানে যৌথ ভাবে চেরনোবিলের নিরাপত্তা রক্ষায় দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার। যদিও ইউক্রেনের দাবি, চেরনোবিলের ৮০-র বেশি কর্মীকে পণবন্দি করে রেখেছে রুশ সেনা।

    অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ম্যখাইলো পোডোলিয়াক ইউক্রেন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন দুই দেশের যুদ্ধে ইউক্রেন সেনারা প্রায় ৩৫০০ জন রুশ সেনাকে হত্যা করেছে এবং ২০০ জনকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে।

    এই পরিস্থিতিতেই পাল্টা আঘাত হানার দাবি করল ইউক্রেন। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর দাবি, শনিবার তারা ধ্বংস করেছে কয়েকটি রাশিয়ান ট্যাঙ্ক, মিলিটারি ট্রাক ও গাড়ি।