বহিরাগতদের নিয়ে বাংলার কৃষ্টি নষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে, আগামীদিনে বহিরাগতদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করুন: গঙ্গারামপুর থেকে তীব্র কটাক্ষ অভিষেকের

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: গঙ্গারামপুরে বিস্ফোরক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ভাইপো-কটাক্ষের’ জবাবে তাঁর ওপেন চ্যালেঞ্জ, বুকের পাটা থাকলে তাঁর নাম নিয়ে আক্রমণ করুক বিজেপি। এদিন নাম করে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও অমিত শাহকে বহিরাগত এবং কৈলাশ-পুত্র আকাশ ও দিলীপ ঘোষকে গুন্ডা বলে কটাক্ষ করেন। বলেন, ‘কৈলাস বহিরাগত, আকাশ বিজয়বর্গীয় গুন্ডা, দিলীপ ঘোষ গুন্ডা। অমিত শাহ বহিরাগত, দিল্লির নেতারা বহিরাগত। বহিরাগতদের নিয়ে বাংলার কৃষ্টি নষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে।

    অভিষেকের হুঙ্কার, ‘আগামীদিনে বহিরাগতদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করুন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার বক্তব্যর শুরুতেই তিনি কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা বিজেপিকে এক হাত নিলেন। জাতীয় সড়কের জরাজির্ণ অবস্থা শিলিগুড়ি থেকে আসতে দেখলাম কিছুদিন আগে বীরভূম থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কেন্দ্র যদি জাতীয় সড়ক সংস্কার না করে তাহলে বলুক আমরা করে দিচ্ছি। যারা বাংলা বলতে জানেনা পড়তে জানেনা তারা চালাবে বাংলা। অনরেকর্ড বলে যাচ্ছি আমাকে যারা দুর্নীতিগ্রস্থ তোলাবাজ ভাইপো বলছেন যদি তা প্রমাণিত করতে পারেন তাহলে ফাঁসির মঞ্চ করবেন আমি মৃত্যুবরন করবো।

    সেইসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, বুকের পাটা নেই বলে তাঁর নাম করছে না তৃণমূল। এখন অনেকে সততার মূর্তি হতে চাইছেন। বাংলা কি নরেন্দ্র মোদির হাতের মোয়া মধ্যপ্রদেশ, বিহারে কোনও চোর ধরা পড়ে না। কারণ এই রাজ্যগুলিতে বিজেপি সরকার। বহিরাগত ইস্যুতেও বিজেপিকে একহাত নেন অভিষেক। সভা থেকে বলেন, ‘আমাকে বলছে বহিরাগত, আমি ব্রাহ্মণ সন্তান, আমি বহিরাগত। অথচ কৈলাস বিজয়বর্গীয় বাংলা বলতে জানেন না। সাংসদের প্রশ্ন, ‘তাহলে কে বহিরাগত ? অভিষেকের মতে, ‘শুধুই চাটুকারিতা চলছে। চলবে না অন্যায়, ফিরবে না ফন্দি, জনগণের আদালতে হতে হবে বন্দি। বিজেপির উদ্দেশ্যে অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, ‘উন্নয়নের নিরিখে মমতা বনাম মোদি রিপোর্ট কার্ড পেশ করুন। গো হারা হারবে বিজেপি। বাংলা গুজরাতের তল্পিবাহকতা করবে না। বাংলা দিল্লির কাছে মাথা নত করবে না।

    এদিনের সভা থেকে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, ‘বেইমান হোক বা ডাকাত কেউ ছাড়া পাবে না। সব বেইমান, ডাকাত বিজেপিতে ঢুকে গেছে। আপনি উপসর্গহীন বেইমান, দলের খেয়ে দলের সঙ্গে গদ্দারি করেছেন। তিনি যোগ করেন, ‘বলেছিলাম বাড়িতে পদ্মফুল ফোটাতে পারোনি। সঙ্গে সঙ্গে একটা ভাইকে বিজেপিতে যোগদান করিয়েছ। তার মানে বাড়িতে আরও উপসর্গহীন রয়েছে। পদ্মফুল শুকিয়ে যাবে, ঘাসফুল কাটলে আরও বাড়বে। বেইমানি, পাল্টিবাজি করে বিজেপিতে বাঁচার চেষ্টা চলছে। বলছে স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালিদের অবদান নেই। নেতাজি না থাকলে আজাদ হিন্দ ফৌজ তৈরি হত না। বাংলাকে কলুষিত করলে আগামীতে কড়ায় গন্ডায় জবাব। পদ নয় পতাকা, নেত্রীর নাম মমতা। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বাংলার মসনদে ফের আসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। বললেন, ‘দিল্লি-গুজরাতের কাছে বাংলাকে বিক্রি করার চেষ্টা, লাভ হবে না। নবান্নে ফের হাওয়াই চটি,
    ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের দাবি, দক্ষিণ দিনাজপুরে আজকের সভা সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। বিজেপিকে তাঁর হুঁশিয়ারি, যে কটা পদ্ম ২০১৯ সালে ফুটিয়েছিলেন, সব বানের জলে ভেসে যাবে। মে মাসের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন সম্পূর্ণ হয়ে ফলাফল ঘোষণা। অভিষেকের আহ্বান, ৫ মাস লড়াই করে মমতার হাত শক্ত করুন। মমতাকে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করুন। তাঁর আশ্বাস, আগামী ৫ বছর উন্নয়নের জোয়ার থেকে কোনও পরিবার বঞ্চিত হবে না। অভিষেকের অভিযোগ, ‘বহিরাগতদের নিয়ে বাংলার কৃষ্টি নষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে। ২০১৯ সালের পর বিজেপির কোনও নেতাকে দেখা যায়নি।