|
---|
নতুন গতি ডিজিটাল ডেস্ক: তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে চলেছে কৃষকরা। বৃহস্পতিবার সেই লাগাতার প্রতিবাদ পড়ছে ৪৩ দিনে। এ দিন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনেই বিক্ষোভকারী কৃষকরা শুরু করেছেন ট্রাক্টর মার্চ। হাজার হাজার কৃষক সামিল হন এই মার্চে। দিল্লির সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমান্ত থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে শুরু হয় ৩৫০০টি ট্রাক্টর মার্চ। ট্রাক্টর র্যালি চলছে সিঙ্ঘু থেকে টিকরি সীমান্তে, টিকরি থেকে কুন্ডলি, গাজিপুর থেকে পালওয়াল ও রিওয়াসান থেকে পালওয়াল অবধি।
এদিকে, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে মামলায় বুধবার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের পর্যবেক্ষণ, এতদিনও অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। যদিও কেন্দ্রের দাবি, কৃষকদের সঙ্গে তাদের আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। কিন্তু শীর্ষ আদালত মনে করছে, দ্রুত সমাধান বের করতে হবে। সরকারের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে দুই পক্ষই ঐক্যমত্যে পৌঁছবে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানিয়েছেন, ৮ জানুয়ারি ফের বৈঠক রয়েছে দুই পক্ষের। তার আগে আদালত কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হলে আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে বৃহস্পতিবার আগেই জানানো হয়েছিল ট্রাক্টর মার্চ করা হবে। এক কৃষক নেতাকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে আন্দোলনের রেশ বাড়বে। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা অভিমন্যু কোহর জানান সরকার দাবি না মানলে আন্দোলন জোরদার করা হবে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল সোমবার সরকারের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হলে বুধবার ৬ জানুয়ারি দিল্লি রিং রোড ধরে ট্রাক্টর র্যালি করার। কিন্তু রোববার এবং সোমবার দুদিন রীতিমতো দুর্যোগ চলায় এবং বুধবারেও ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় এই সময় সূচি বদলানো হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বুধবারের পরে বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
গতকালই ঘোষণা করেছিলেন কৃষকরা। সেই কথা মতো বৃহস্পতিবার নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে ট্রাক্টর মিছিল করলেন কৃষকরা। প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথে কিষাণ প্যারেড করার আগে তার মহড়া শুরু করেছেন কৃষকরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার কৃষক এসে এই ট্রাক্টর মিছিল করেছেন। পুলিশের অনুমান, অন্তত ২৫০০ ট্রাক্টর মিছিলে অংশ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামিকাল, শুক্রবার ফের বৈঠকে বসার কথা কেন্দ্র-কৃষক পক্ষের। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলন এদিন বৃহস্পতিবার ৪৩তম দিনে পড়েছে। ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে দিল্লি পুলিশের যুগ্ম নগরপাল (পশ্চিম) শালিনী সিং বলেছেন, ‘‘দিল্লির ভিতরে মিছিল প্রবেশের কোনও কথা নেই। সেই মতোই পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু রাজধানীর লাগোয়া অংশে রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে সিরসা ও বিল আকবরপুর থেকে সোনিপতের দিকে আসা গাড়ি এক্সপ্রেসওয়েতে দুপুর ২ টো থেকে ৫টার মধ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।