বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী দিবসে ভারতের অবদান তুলে ধরল বাংলাদেশ।

লুতুব আলি, বর্ধমান, ১৬ ডিসেম্বর : ১৬ ডিসেম্বর বর্ধমানে উদযাপিত হল বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী দিবস। এই মৈত্রী দিবসের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড: মোঃ শাহ আজম। বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী দিবসের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে ডঃ মোঃ শাহ আজম বলেন, ভারতের কাছে বাংলাদেশ ঋণী। ভারত সহযোগিতা না করলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে বেগ পেতে হতো। তিনি জানান, ভারতবর্ষের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশকে সর্বতভাবে সহযোগিতা করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ১৫ হাজার ভারতীয় সেনা শহীদ হন। পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বড় নারকীয় হত্যা ঘটেছিল বাংলাদেশে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপাচার্য আরও বলেন, অবিভক্ত ভারতের ৯০ শতাংশ বাঙালি ভারত দু টুকরো হোক চান নি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫১ বছর পূর্তি উৎসবে ভারতের ভূমিকা নিয়ে উপাচার্য বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। রবীন্দ্র নজরুল এপার বাংলা ওপার বাংলায় দু দেশেই সমাদৃত হয়েছেন। এই মৈত্রী দিবসের অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় বর্ধমান উদয় চাঁদ গ্রন্থাগারের সভা কক্ষে। অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশী শিক্ষার্থী গবেষকবৃন্দ ও বর্ধমান ছন্দম। অনুষ্ঠানের সকলকে স্বাগত জানান ছন্দম এর পক্ষে মেহেবুব হাসান, বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পক্ষে জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক ড : ইন্দ্রজিৎ রায়, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সঞ্চালক শ্যামাপ্রসাদ চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক কাশীনাথ গাঙ্গুলী প্রমুখ। মৈত্রী দিবস উপলক্ষে ছোট্ট একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।