|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে অমিত সাহের জনসভার অনুমতি নিয়ে অনেক টানা পড়েনের পর শেষমেশ মেলে সভা করার অনুমতি। সভা ঘিরেই জল্পনা ছিল তুঙ্গে। আজ সেই সভার পর শান্ত কাঁথি তথা অধিকারী গড়ে ভোল বদলে রণক্ষেত্র চেহারা নেয়।অমিতের সভা শেষে কাঁথিতে বিশৃঙ্খলার চেহারা ধারণ হয়। যথারীতি তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক বাস সহ বিভিন্ন যানবাহন ইট-পাথর দিয়ে ভাঙচুর এবং বাইক জ্বালিয়ে দেওয়ার মত অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও মহিলাদের কটুক্তি করা হয়েছে বলে বিজেপি তরফে অভিযোগ আনা হয়ে। যদিও এই অশান্তির মধ্যে কালীনগর, মারিশদা, হেঁড়িয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় চলে ভাঙচুর ও গণ্ডগোল। এই ঘটনায় শুধু বিজেপি সমর্থকদের গাড়ি নয়, জ্বলেছে তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি অফিস। যদিও এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে আঙুল তুলেছে। এই ঘটনায় তৃণমূল তরফে অভিযোগ, ১৯শে জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশে মানুষের সাড়া দেখে বিজেপির অমিত সাহ সহ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ঘুম উড়ে গিয়েছে। তাই নিজেরাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে রাজ্য রাজনীতিতে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করছেন। যদিও বিজেপি তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। অমিতের সভাতে যে সকল বাস ট্রেকার, মোটর বাইক সহ অন্যান্য যানবাহন গিয়েছিল, তা যথাস্থানে পার্কিং করা ছিল না বলে অভিযোগ। এই এলোমেলো পার্কিং-এর ফলে সড়কে অন্যান্য যানবাহন যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছিল বলে স্থানীয় সূত্রের অভিযোগ। আজকের এই অশান্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দিকে আঙুল ওঠার অভিযোগকে অস্বীকার করে সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, শুধু এ রাজ্য নয়, ভিন রাজ্য থেকেও বহু গাড়ি বিজেপির সভার জন্য এসেছিল। তিনি এও বলেন, সভাস্থলে ১৫০০ চেয়ার সহ ৩০০-৪০০ স্কোয়ার ফুটের সভা স্টেজ, যা বিজেপির কোনো মতেই সভার উপযোগী মনোভাব ছিল না। একসাথে জড়ো হয়ে হয়ে হল্লাবাজি করার লক্ষ্যই ছিল এই বিজেপির। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দ্বারা তৃণমূল পার্টি অফিসে আগুন ধরানো সহ তৃণমূল কর্মীদের বাইক এবং পথচারীদের বাইকে আগুন ধরিয়েছে। তিনি এও বলেন, তৃণমূল কখনো অশান্তি চায় না। শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে মানুষের মনে তৃণমূল সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দেওয়াই হল বিজেপির কাজ। এখনো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় থমথমে ভাব রয়েছে। কাঁথি শহর সহ শহরতলির বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অশান্তি রুখতে কড়া পুলিশি নজরদারি চলছে।