|
---|
মতিয়ার রহমান : মুরারই থানার ধিতোড়া গ্রামের একটি অনুষ্ঠান ভবনে পালিত হয় সখিনা আর্ট স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠান ও বাংলা বর্ষ বরণ অনুষ্ঠান। বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে যখন প্রতীজ্ঞা প্রস্তুত হচ্ছে ঘরে বাইরে। প্রসিদ্ধ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ছোট বড়ো মাঝারি আকারের দোকান পাট থেকে শুরু করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যখন পুরনো দিনের সব গ্লানি কালিমা দৈনতা মুছে দিয়ে “এসো হে বৈশাখ এসো এসো — ” র আহ্বানে সাড়া দিয়ে সুসজ্জিত হচ্ছে, তখন ধিতোড়া সখিনা আর্ট স্কুল কি পিছিয়ে থাকবে! তারাও তাদের সামর্থ্য নিয়ে তৈরি। নতুন বছরের প্রথম দিন।তাও আবার বাঙালির প্রাণের প্রিয় উচ্ছাস আবেগের বাংলা নতুন বছর! সকাল দশটায় অনুষ্ঠানের সূচনা। অতিথি বরণের পর সানুয়াজ নূরের রবীন্দ্র গানের মধ্য দিয়ে সভার শুরু। তারপর কথা কবিতা গান ও নাচে জমজমাট অনুষ্ঠান। শতাধিক দর্শক শ্রোতা অতিথিদের উপস্থিতিতে এমন মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান দীর্ঘদিন এলাকাবাসী প্রত্যক্ষ করেননি বলে দাবি করেন বক্তাদের অনেকেই। এই প্রতিষ্ঠানের স্হপতি ও প্রধান শিক্ষক রেজাউল হাসান রিপন তাঁর স্বাগত ভাষণে উপস্থিত সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। ছোট্ট মেয়ে মেহেক ও তুহিনার নৃত্য পরিবেশন উপস্থিত দর্শক অতিথিদের সপ্রশংস দৃষ্টি আকর্ষণ করে। রিপনের আন্তরিক ইচ্ছা পূরণ হোক কামনা করে বক্তব্য রাখেন সভার প্রধান অতিথি ডুমুরগ্রাম হাই মাদ্রাসা (উচ্চ মাধ্যমিক) র সহকারী শিক্ষক মহম্মদ এমাদ উদ্দিন বাদল, লেখক ও নাট্যকার ধ্বজাধারী দত্ত, পর্যটনে পাইকর,দেব দেউলের বীরভূম, স্বাধীনতা আন্দোলনে বীরভূমের সংগ্রামী মানুষ সহ বহু গ্রন্থের জনক দীনবন্ধু দাস, মুরারই গ্রাম পঞ্চায়েতের সম্মানীয় সদস্য আরজাদ হোসেন, ওয়াসিম আকরাম,জহুরে আলম ও রিপনের প্রেরণা শিল্পা আর্ট স্কুলের প্রিন্সিপাল অনিরূদ্ধ ফুলমালী সহ অনেকেই। সখিনা আর্ট স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ে কৃতিত্বের জন্য সংশাপত্র ও মেডেল পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয়। পাঞ্জাবির ওপরে সখিনা আর্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক রিপনের অসাধারণ রং তুলির শৈল্পিক কাজ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। দুপুর একটায় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ও আজকের সভার সভাপতি আবদুর রাজ্জাক। তিনি ধিতোড়া গ্রামের অতীত ঐতিহ্য তুলে ধরেন এবং সখিনা আর্ট স্কুলের পক্ষে বাংলা নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মতিয়ার রহমান।