বীরভূমে সাড়ম্বরে পালিত ঈদ উল আযহা’ র নামাজ

সেখ রিয়াজ উদ্দিন, বীরভূম: দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাথে সাথে আজ বীরভূমের লোকপুর থানা এলাকার বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় সকাল থেকে ঈদ উল আযহার নামাজ পড়ার জন্য কাতারে কাতারে মানুষ নিজ নিজ ঈদগাহ ময়দানে সমবেত হন। নামাজ শুরুর আগে পেশ ইমাম গন পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেন সম্প্রতি মসজিদ, থানা, ব্লক স্তরে শান্তি কমিটির বৈঠক হয়, সেখানে মূলবার্তা ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান তাই সেই কথা মাথায় রেখে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার ছবি মোবাইলে পোস্ট না করা, ত্যাগ ধৈর্য্য ভাতৃত্ব তথা সম্প্রতি বজায় রাখা একান্ত কর্তব্য। অন্যপ্রান্তে পাড়ুই থানার খুষ্টিগিরীতে হজরত আব্দুল্লাহ কেরমানী (রহঃ) এঁর মাজার শরীফ প্রাঙ্গণে সকাল ৮ ঘটিকায় পবিত্র ‘ঈদ উল আযহা’র নামাজ অজস্র মানুষের সমাগমে অনুষ্ঠিত হল। খুষ্টিগিরী দরগাহ শরীফের পীর হজরত সৈয়দ শাহ বজলে রহমান কেরমানী পবিত্র ঈদ উল আযহা প্রসঙ্গে বলেন―ঈদ-উল-আযহা উৎসব ― ত্যাগ, সংযম ও আত্মদানের উৎসব। ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহতালার আদেশ পালন তথা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিজ প্রিয় পুত্রকে কোরবানী করতে উদ্যত হয়েছিলেন। তাঁর আচরণে প্রমাণিত হয়েছিল পুত্রের ভালোবাসা থেকেও আল্লাহতালার প্রতি ভালোবাসা বড়। তাঁরই মহান ত্যাগের স্মৃতিতে মুসলিম জাতি প্রতি বছর ১০ই জিলহজ্জ্ব ঈদ-উল-আজহার নামাজ পাঠ করেন ও নিজ নিজ গৃহে পশু কোরবানী করেন। কোরবানীর পশুর গলায় ছুরি দেওয়ার আগে নিজেদের মধ্যে গুপ্ত পশুত্বের গলায় ছুরি দিতে হবে; বিসর্জন দিতে হবে কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-পরনিন্দা-পরশ্রীকাতরতা। মানবতাবোধ-শৃঙ্খলাবোধ ও সম্প্রীতি রক্ষায় হতে হবে সচেষ্ট। তবেই সার্থক হবে উৎসর্গের উৎসব ― কোরবানী। বিশ্বময় বিরাজ করবে মহান আল্লাহপাকের মেহেরবানী।

    নামাজ শেষে পারস্পরিক শুভেচ্ছা, কোলাকুলি,সালাম বিনিময় পর্ব চলে।