বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রীর মামাবাড়িতে খড়ের গাদায় আগুন, পুড়ল ১২ বিঘা জমির ধান

নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামাবাড়ির ধানের গাদায় আগ্নিসংযোগের অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল বীরভূমের কুসুম্বা গ্রামে। সোমবার দুপুরে রামপুরহাটের কুসুম্বা গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মামাবাড়ির ধানের গাদায় আগুন দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেন পরিবারের লোকেরা। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

    সোমবার দুপুরে কুসুম্বা গ্রামে অনিল মুখোপাধ্যায় বাড়িতে ধানের গাদায় আগুন দেখা যায়। চারটি ধানের গাদা দাউদাউ করে জ্বলতে দেখা যায়। আগুন দেখে রামপুরহাট দমকল দফতরে খবর দেন বাড়ির লোকজন। মুখ্যমন্ত্রীর মামাবাড়ির ধানের গাদায় আগুন দেখে আতঙ্ক ছড়ায়। দমকল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

    পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, কেউ বা কারা খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেননি তাঁরা। এই ঘটনার সঙ্গে রাজ্যের সাম্প্রতিক হিংসার কোনও যোগাযোগ নেই বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর মামা অনিল মুখোপাধ্যায়।

    তিনি জানিয়েছেন, চারটি গাদায় প্রায় ১২ বিঘা জমির ধান মজুত ছিল। আগ্নিকাণ্ডে প্রায়  ১০০ ক্যুইন্টাল ধান পুড়ে গিয়েছে। পুড়ে গিয়েছে খড়। এই খড়েই বাড়ির গবাদিপশুর খোরাকি জোটে।


    গত লোকসভা নির্বাচনে কুসুম্বা গ্রামে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়। গ্রামের ৪টি বুথের সবকটিতে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। শুধু তাই নয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও বিধানসভা এলাকাতেও পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাই নীহার মুখোপাধ্যায় বীরভূম জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ। তাঁর স্ত্রী রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। তারাপীঠ – রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের অধীনস্থ কুসুম্বায় বিজেপির উত্থানে চিন্তিত সেখানকার তৃণমূল নেতৃত্ব।

    তবে এর পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তত্ত্ব মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রীর মামা অনিল মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমাদের এখানে ওসব নেই। কেউ ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে আগুন ধরিয়ে থাকতে পারে।