বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে বর্ধমানের স্কুলে সেমিনার।

লুতুব আলি, বর্ধমন : ২৮ জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস। বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে বর্ধমানের দুটি বিদ্যালয় এ ২৭ জুলাই পূর্ব বর্ধমানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বর্ধমান সদর প্যয়ারা নিউট্রিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত করল। এই শিবিরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় যে বাজার থেকে খোলাখাবার যথেচ্ছ ভাবে মারণ রোগের জীবাণু ছড়ায়। এদিন কাঞ্চন নগর ডি এন দাস উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এবং রথ তলা মনোহর দাস বিদ্যানিকেতন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ শিবির দুটি সফলতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। বাজার থেকে খোলাখাবার ও পানিও কতটা মারাত্মক হতে পারে এবং সেখান থেকে কিভাবে যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তা মডেল, চার্ট এবং প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষা কর্মী এবং সমাজের নানান স্তরের মানুষ এই শিবিরে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানে মেমারি কলেজের অতিথি শিক্ষিকা চৈতালী ঘোষ, আমানত ফাউন্ডেশন এর প্রাক্তন কর্মী মনিরা চৌধুরী, যোগা বিশেষজ্ঞা দিশা রক্ষিত, পুষ্টি শিক্ষক প্রলয় মজুমদার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, জাতীয় শিক্ষক তথা পরিবেশ কর্মী ড: সুভাষচন্দ্র দত্ত প্রমুখরা মনোজ্ঞ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ও বক্তব্য রাখেন রথ তলা মনোহর দাস বিদ্যানিকেতন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, কি বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ নন্দী প্রমুখ। উঠে আসে হেপাটাইটিসের কারণ, লক্ষণ এবং খাবারের মাধ্যমে রোগ সারানোর উপায়। সংস্থার সম্পাদক প্রলয় মজুমদার বলেন, হার্টের সমস্যা ও ডায়াবেটিস নিয়ে আলোচনা হলেও লিভার নিয়ে তেমন সচেতনতা লক্ষ্য করা যায় না। আমাদের একটাই জীবন এবং একটাই লিভার, যা সুস্থ রাখতে এমন সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের দরকার আছে। ড: সুভাষচন্দ্র দত্ত এই প্রতিবেদককে জানান, মানব দেহ কে সুস্থ রাখতে হলে লিভার ফাংশন কে চাঙ্গা রাখতে হবে। লিভার ভালো থাকলে অনেক জটিল রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর ফলে ইমিউনিটি পাওয়ার ঠিকঠাক থাকে। ইমিউনিটি পাওয়ার বেশি থাকলে করোনার মতো মারণ রোগ কে ও দমন করা যায়। মেমারি কলেজের অতিথি শিক্ষিকা এদিনের অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন। তিনিও হেপাটাইটিসের ওপর আলোকপাত করেন।