ওয়ার্ল্ড ড্রাউনিং প্রিভেনশন ডে পালনে সুন্দরবন সহ পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে শিশুদের নিয়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করল চাইল্ড ইন নিড ইনস্টিটিউট – সিনি

কলকাতা, ২৫ জুলাই, ২০২৩: সিনি, ওয়ার্ল্ড ড্রাউনিং প্রিভেনশন ডে তে সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তবে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সুন্দরবনের উপর। এলাকার সাধারণ মানুষ ও পরিবার গুলিকে জলে ডুবে যাওয়ার মর্মান্তিক ও স্থায়ী পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে সুন্দরবনের কুলতলী ব্লকের মইপিঠ ও ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতে পালিত হলো বিশ্ব জলে ডোবা প্রতিরোধ দিবস। মইপিট বৈকন্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে সিনি যোদ্ধা মায়েরা এবং ছোট ছোট শিশুরা পথ নাটিকার মাধ্যমে তুলে ধরেছে সমাজে কুসংস্কার কীভাবে ছোট ছোট শিশুগুলির প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। এছাড়াও সাঁতার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মানুষের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে সিনি – যে জলে ডোবা প্রতিরোধ করতে আমরা যদি আমাদের ছোট ছোট শিশু গুলিকে সাঁতার শেখাতে পারি তাহলে কিছুটা হলেও এই মর্মান্তিক পরিনিতি থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি।

     

    জর্জ ইনস্টিটিউট অফ গ্লোবাল হেলথ এবং আইসিএমআর-এর সহযোগিতায় সিনি দীর্ঘদিন ধরে জলে ডোবার এই সমস্যাগুলির উপর ব্যাপকভাবে কাজ করছে।

     

    সর্বশেষ যৌথ সমীক্ষা অনুযায়ী, সুন্দরবনে প্রতিদিন ৩টি শিশু ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই সমীক্ষাটির পরে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও কমিউনিটির মতামত এর উপর নির্ভর করে, বেশ কিছু অঞ্চলে সিনি বেড়া দিয়ে পুকুর ঘিরে দেওয়া এবং স্বনির্ভর দলের সহায়তায় চাইল্ড কেয়ার সেন্টার সূচনা করেছেন।

     

    ভারতে সিনির কাজের একটি অন্যতম প্রধান বিষয় হল সুন্দরবনে শিশুদের জলে ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি প্রশমনের কাজ। শুধু তথ্য সংগ্রহের পর্যায়ে থামার পরিবর্তে সিনি কয়েকটি প্রমাণ-ভিত্তিক, কম খরচে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধ মডেলের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে । সিনি ৪০০র বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী , পঞ্চায়েত, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং প্রশাসনকে এই ধরনের কাজ বাস্তবায়নের জন্য অনুপ্রাণিত করেছে যা ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়ক হতে পারে।

     

    *চাইল্ড ইন নিড ইনস্টিটিউট এর ন্যাশনাল অ্যাডভোকেসি অফিসার শ্রী সুজয় রায়, বলেছেন,* “৫০ তম বছরে সিনি সক্রিয় ভাবে জলে ডুবে শিশু মৃত্যু এড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরেছে, যাতে শিশু মৃত্যু ভবিষ্যতে হ্রাস পায়। শিশুদের স্বাস্থ্য, পুষ্টি সুরক্ষা, শোষণ থেকে শিশুদের অধিকার সুরক্ষার জন্য সংস্থা অঙ্গীকার বদ্ধ। শিশুর জলে ডুবে মৃত্যু রোধ করতে সংস্থার এই উদ্যোগ একটি নিরাপদ এবং শিশুবান্ধব সম্প্রদায় নিশ্চিত করার দিকে এক পা এগিয়ে দেবে। ম এটাও লক্ষণীয় যে সম্প্রতিক কালে টাইটান এর মতো হাইপ্রোফাইল জাহাজ ডুবে যাওয়ার ঘটনাটি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও প্রতিদিন হাজার হাজার শিশুর জলে ডুবে যাওয়ার ঘটনা অলক্ষিতই থেকে যায়। তাই সিনির, ওয়ার্ল্ড ড্রাউনিং প্রিভেনশন ডে তে এই নীরব মহামারীর বিরুদ্ধে সম্মিলিত সচেতনতা সৃষ্টি এবং সক্রিয় প্রতিরোধ গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।“