|
---|
জাকির হোসেন সেখ, নতুন গতি, কলকাতা: সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে সারাদেশে বিজেপি পেতে পারে মাত্র ১৫১টি আসন, এমনই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এল ‘’নাগপুর টাইমস পত্রিকা” র সমীক্ষায়। আর এই সমীক্ষা প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সারাদেশে। সমীক্ষায় উঠে এসেছে এককভাবে বিজেপির মাত্র ১৫১টি আসন পাওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিজেপি বাদে এনডিএর বাকি শরিকরা পাচ্ছে মাত্র ৩১টি আসন। অর্থাৎ বিজেপি সহ যোগ করলে সবমিলিয়ে এনডিএর আসন সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে মাত্র ১৮২ টি আসন।
এই সমীক্ষায় ইউপিএ জোটকে দেয়া হয়েছে ২১৬ টি আসন, আর কংগ্রেসকে এককভাবে দেয়া হয়েছে ১৪১ টা আসন। বাকি ৭৫টি আসন পাবে ইউপিএর অন্যান্য শরিকদল।
সদ্য প্রকাশিত এই রিপোর্টে নাকি ‘‘বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা’’র তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে ‘‘নাগপুর টাইমস পত্রিকা”য়। নতুন গতি পত্রিকার পক্ষ থেকেও প্রকাশিত সমীক্ষার সত্যাসত্য যাচাই করা হয়নি।
সঙ্ঘ পরিবারের আঁতুড়ঘর বা সদর দপ্তর নাগপুর থেকে প্রকাশিত সমীক্ষায় স্বাভাবিকভাবে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
“নাগপুর টাইমস পত্রিকা” অবশ্য দাবি করেছে যে, এই সমীক্ষা আসলে বিজেপির আভ্যন্তরীণ সমীক্ষা রিপোর্টের ভিত্তিতেই তৈরি, প্রতি লোকসভা নির্বাচনের আগে যেটা করে থাকে বিজেপি। এবারের লোকসভা নির্বাচনের মুখে করা বিজেপির সেই অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা রিপোর্ট “নাগপুর টাইমস”এর হাতে এসেছে এবং যার ভিত্তিতে তারা এই সমীক্ষা প্রকাশ করল।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির এনডিএ জোট পেতে পারে মাত্র ১৮২টি আসন।
কংগ্রেসের ইউপিএ জোট পেতে পারে ২১৬ টি আসন এবং অন্যরা পেতে পারে ১৪৪টি আসন।
পাশাপাশি রাজ্য ভিত্তিক যে সমীক্ষা তারা প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশেও শোচনীয় ভাবে পরাজিত হতে চলেছে বিজেপি। সেখানে সপা – বসপা – আরএলডি জোট পেতে পারে প্রায় ৪৫টি আসন। বিজেপি নেমে আসতে পারে ২৯টি আসনে। বিজেপির শরিকদল পেতে পারে বড়জোর ১টি আসন।
উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস এবার পেতে চলেছে ৫টি আসন বলে সমীক্ষায় প্রকাশিত হয়েছে।
গত ২৮ এবং ২৯ মার্চ প্রকাশিত এবিপি নিয়েলসনের সমীক্ষা পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি আসনের মধ্যে বিজেপিকে ৮টি আসন দিলেও “নাগপুর টাইমস্ পত্রিকা”র সমীক্ষা সেখানে বাংলা থেকে বিজেপিকে দিচ্ছে মাত্র ২টি আসন। আর কংগ্রেস দল গতবারের তাদের ৪টি আসনই ধরে রাখতে পারবে বলে জানিয়েছে এই সমীক্ষা।
এবিপি নিয়েলসনের সমীক্ষা তৃণমূল কংগ্রেসকে গতবারের ৩৪ থেকে নামিয়ে ৩১টি আসন দিয়েছিল। সেখানে “নাগপুর টাইমস্ পত্রিকা”র সমীক্ষা তৃণমূলকে দিচ্ছে গতবারের থেকেও ২টো বেশি অর্থাৎ ৩৬ টি আসন।
মহারাষ্ট্রে মোট ৪৮ আসনের মধ্যে কংগ্রেস ১০, এনসিপি ১০টি। বিজেপি ১৬, শিবসেনা ১২টি।
বিহারে ৪০ আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেতে পারে ৪টি। তাদের শরিক দলগুলোর দখলে থাকতে পারে ১৪। বিজেপি–র দখলে থাকতে পারে ১৩ এবং তাদের শরিক দলগুলো পেতে পারে ৯টি।
মোট ৩৯ আসনের তামিলনাড়ুতে এবার এডিএমকের সঙ্গে জোট করেছে বিজেপি। কংগ্রেস লড়ছে ডিএমকেকে নিয়ে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এনডিএ পেতে পারে মাত্র ৫টি।
অন্যদিকে, কংগ্রেস ও ডিএমকে জোটের দখলে যেতে পারে ৩৪টি আসন।
কর্ণাটকে মোট আসন ২৮। সেখানে কংগ্রেস ১৪টি এবং তাদের সঙ্গীদের ৫টি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা। সমীক্ষা বলছে বিজেপি পেতে পারে ৯টি আসন।
রাজস্থানেও কংগ্রেস মাত করতে পারে। মরুরাজ্যের মোট ২৫ টি আসনের মধ্যে এবার কংগ্রেস ১৫টি ও বিজেপি ১০টি আসন পাওয়ার কথা বলেছে বিজেপি–র অভ্যন্তরীণ এই সমীক্ষা।
অন্ধ্রপ্রদেশে কংগ্রেস ৬টি, বিজেপি শূন্য। ওয়াইএসআর পেতে পারে ১৯টি।
১৩ আসনের পাঞ্জাবে কংগ্রেস ১১, এনডিএ শরিক শিরোমণি অকালি দল ২টি।
১৪ আসনের ঝাড়খণ্ডেও হাল খারাপ বিজেপির। এখানে কংগ্রেস ৫টি, শরিক দল ৬টি এবং বিজেপি পেতে পারে ৩টি।
ছত্তিশগড়ের ১১টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ৯টি, বিজেপি ২টি।
চণ্ডীগড় কংগ্রেসের দখলে।
মধ্যপ্রদেশে অবশ্য সমানে সমানে টক্কর। কংগ্রেস ১৪টি, বিজেপি ১৫টি।
গোয়ায় উভয়েই একটি করে।
তেলেঙ্গানায় বিজেপি শূন্য। কংগ্রেস ২টি, টিআরএস ১৪ এবং এমআইএম ১টি।
অসমে কংগ্রেস ৭টি, বিজেপি ৪টি, এনডিএ শরিক ১টি।
ওড়িশায় কংগ্রেস ১টি, বিজেপি ৪টি এবং বিজেডি ১৬টি।
অরুণাচলে ইউপিএ, এনডিএ ১টি করে।
ত্রিপুরার দুটি আসন এবার যাবে বিজেপি–র দখলে।
কেরলে খাতা খুলতে পারবে না বিজেপি। ২০ আসনের রাজ্যে বামেরা পেতে পারে ৭টি, কংগ্রেস ৯টি, ইউপিএ শরিক দলগুলি ৪টি।
মেঘালয়ে কংগ্রেস ও এনপিপি ১টি করে আসন।
জম্মু ও কাশ্মীরে যদি ভোট হলে ইউপিএ পেত ৪টি, বিজেপি ২টি আসন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটে মোট ২৬ আসনের মধ্যে বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ২০টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ৬টি।