বনবিবি সেতু কে সামনে রেখে ভোট প্রচার তুঙ্গে হাসনাবাদ

নতুন গতি, বসিরহাট : বনবিবি সেতু কে সামনে রেখে ভোট প্রচার তুঙ্গে হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জের বিধানসভায়র প্রার্থীদের। দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবন বাসির স্বপ্নপূরণ হয়েছে এই বনবিবি সেতু উদ্বোধনের পর থেকে। বসিরহাট মহকুমা বেশকিছু ব্লক নদীমাতৃক হবায় যাতায়াতের সমস্যার সম্মুখীন হতে হত এই সমস্ত প্রান্তিক এলাকায় বসবাসকারী গ্রামবাসীদের।তাই দীর্ঘদিন আবেদন করেও কোনো সমাধান হয়নি এমনই অভিযোগ হাসনাবাদ হিঙ্গলগঞ্জ বসবাসকারী গ্রামবাসীদের। বাম জামানার পরিবর্তনের পর এই সুন্দরবন বাসি দের আবেদনে সাড়া দিয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি হাসনাবাদের বনবিবি সেতু কাজ দ্রুতগতিতে শেষ করেন। এর ফলে উপকৃত হয় কয়েকটি বিধানসভার মানুষ।তাই এবার বিধানসভা ভোটের প্রচারে মুখ হতে চলেছে হাসনাবাদের বনবিবি সেতু। সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই আমূল পরিবর্তন হয়েছে হিঙ্গলগঞ্জ, লেবুখালী, যোগেশ গঞ্জ ,কালিতলা, হেমনগর একাধিক প্রান্তিক অঞ্চলের বসবাসকারী গ্রামবাসীদের। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় ছোটখাটো ব্যবসায়ীদের জীবনযাত্রা পাল্টে গিয়েছে । আগে যে পরিমাণ পরিবহন খরচা পড়ে যেত তা এখন আগের তুলনায় অনেক কম বলে জানাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। যে সমস্ত ছোটখাটো কুটির শিল্পি ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা তারা শহরে গিয়ে অনায়াসেই দাম দর করে মালপত্র বিক্রি করতে পারছে। এই বনবিবি সেতু হবার পর ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষরা বহু উপকৃত হয়েছে বলে জানান। এই বিষয়ে এক মধু ব্যবসায়ী স্বপন সরকার জানান আগে কলকাতায় মধু বিক্রি করতে হলে গাড়ি খরচ অনেক পড়ে যেত। এখন একটা গাড়িতেই আমরা অনায়াসেই কলকাতায় পৌঁছে যেতে পারি। এবং একটা গাড়িতে যাওয়ায় খরচটাও অনেক কম লাগে যার ফলে লাভের অঙ্ক বেশি থাকে। এবং দিনের দিন বাড়িতে ফিরে এসে অন্য কাজ করতে পারি যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটাই উন্নত হয়েছে যে এইগুলি সম্ভব। এই নদীতে ব্রিজ হওয়ায় এতটা যাতায়াতের উন্নতি হবে তা ভাবতে পারিনি এক দিনেই কলকাতা গিয়ে ফের আবার বাড়িতে ফিরতে পারবে। এই বিষয়ে কলেজছাত্রী নমিতা মন্ডল জানান পড়াশোনা অনেকটা উন্নতি ঘটেছে এই বনবিবি সেতুর কারণে। আগে যারা কলকাতা যাবার ভয়ে মাঝপথেই পড়াশুনো বন্ধ করে ঘরে বসে থাকতো এই যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে। সেই সমস্ত ঘরের ছেলে মেয়েরাই এখন সবাই শহরে গিয়ে পড়াশোনা করছে এবং দিনের দিন বাড়িতে ফিরে আসছে। এই বিষয়ে হিঙ্গলগঞ্জ এর বিদায়ী বিধায়ক এবং প্রার্থী দেবেশ মন্ডল জানান মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সুন্দরবনে বসবাসকারী গ্রামবাসীদের জন্য আরো অনেক কিছু ভাবনা চিন্তা আছে। যেমন এখানে শুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছেন। শহরে যাওয়ার জন্য সুন্দরবনের সামসের নগর থেকে সরকারি বাসে করে কলকাতা যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একাধিক প্রান্তিক মানুষের সুবিধার জন্য উন্নয়নমূলক কাজ হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে করা হয়েছে। এই বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী নিমাই দাস এর সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোনে পাওয়া যায়নি। তাই বিজিপি যুব সভাপতি পলাশ সরকার জানান রাস্তাঘাটের অবস্থা ভীষণ খারাপ। দীর্ঘদিন ধরেই সংস্কার না হওয়ায় রাস্তায় খানাখন্দ হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সুন্দরবনের মানুষরা। দুলদুলি, লেবুখালী নদীতে ব্রিজ না হওয়ায় ভিশন সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের।