|
---|
দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: গাংনাপুর গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
কবর থেকে দেহ তুলে ফের ময়নাতদন্ত করার পাশাপাশি রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া, কেস ডায়েরি পেশ করা ও নির্যাতিতার মায়ের জবানবন্দি দেওয়ার নির্দেশ দিলো আদালত। তদন্ত করবেন ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার। ১১ মে আদালতে পেশ করতে হবে সমস্ত রিপোর্ট।
প্রসঙ্গত, নদিয়ার গাংনাপুর থানার মাঝেরগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কামারবেড়িয়া গ্রামে নির্যাতিতা গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি। কর্মসূত্রে সৌদি আরবে থাকেন ওই গৃহবধূর স্বামী। তাই তাঁর ছেলেকে নিয়ে থাকতেন নির্যাতিতা। অভিযোগ, গত ৬ মার্চ রাত ১১টা নাগাদ বাড়িতে ঢুকে ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়। গণধর্ষণের পর গৃহবধূকে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সেই খবর ওই গৃহবধূর বাপের বাড়িতে পৌঁছয়। তাঁর বাবা এবং মা তড়িঘড়ি অটো নিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছন। নির্যাতিতার মায়ের দাবি, তাঁরা দেখেন মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। নির্যাতিতাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যোগ নিলেও দু’বার তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা কোনওরকমে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাঁদের মেয়েকে স্থানান্তরিত করা হয় একটি নার্সিংহোমে। ওই নার্সিংহোমে সাত দিন থাকার পর কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে গত ১৪ মার্চ দুপুরে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়।
গাংনাপুর থানায় বারবার অভিযোগ জানাতে যান নির্যাতিতার মা। তবে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি বলেই দাবি তাঁর। এরপর গত ১৭ মার্চ ডাকযোগে গাংনাপুর থানার ওসি-সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। তাতেও পুলিশের কোনও হেলদোল তারা দেখতে পাননি। বাধ্য হয়ে গত ২১ এপ্রিল রানাঘাট মহকুমা আদালতের একজন আইনজীবীর মাধ্যমে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। হাই কোর্টে মামলা দায়ের হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে গাংনাপুর থানার পুলিশ। এফআইআর দায়ের হয়। মোট ৬ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে নতুন করে নাম যুক্ত হয়েছে একজন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের।