বারাসাতে বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ উদযাপন

মহঃ মফিজুর রহমান, বারাসাত : ‘হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি   কৌতুহলভরে’– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রত্যয় ছিল শতবর্ষ পরে তাঁর কবিতা কেউ না কেউ পড়বেন। কিন্তু শতবর্ষ পরে একটি মাত্র কবিতা নিয়ে সারা পৃথিবীব্যাপী বাংলা ভাষাভাষী মানুষ আজ এমনভাবে উদ্বেল হয়ে উঠবেন, বোধহয় কবিতাটি লেখার সময় কবি নিজেও ভেবে উঠতে পারেননি। অথচ অনেক বিরূপতার পরেও কবিতাটি নিয়ে বিশ্বব‍্যাপী শতবর্ষ পরে আলোচিত হচ্ছে সম্মানের সঙ্গে।

    কাজী নজরুল ইসলামের ‛বিদ্রোহী’ কবিতার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বারাসাতের সুভাষ ইনস্টিটিউট হলে “নজরুল চর্চা কেন্দ্র, বারাসাত”- এর উদ্যোগে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । কবির প্রতিকৃতিতে মাল‍্যদান করে আলোচনা সভার সূচনা করেন সংগঠনের সভাপতি তথা হিঙ্গলগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. শেখ কামাল উদ্দীন। কবিতা রচনার প্রেক্ষাপট, কবিতাটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য, কবিতাটি নিয়ে বিতর্ক, বর্তমান প্রেক্ষিতে কবিতাটির গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা করেন সংগঠনের সভাপতি শেখ কামাল উদ্দীন, সম্পাদক শাহজাহান মন্ডল, দেবযানী চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ বক্তারা। ‛বিদ্রোহী’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন সংগঠনের সহ সভাপতি স্বপন ভট্টাচার্য। আবৃত্তি করেন শান্তনু কয়াল, রুমা চক্রবর্তী বাগচী। নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন দুখিরাম রায়, শুভ্রা দাম, তমালিকা কুন্ডু। নজরুলের গানের সঙ্গে নৃত্য প্রদর্শন করেন সৌমিতা মল্লিক। একশো আসনের হল ঘরে সরকারি বিধিনিষেধকে মান‍্যতা দিয়ে মাত্র চল্লিশ জনকে নিয়ে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।