নালা পরিষ্কার করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের

নিজস্ব প্রতিবেদক:- কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজার এলাকায় নিকাশি নালা পরিষ্কার করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। নালা সংস্কার চলছে। আর রবীন্দ্রনাথের চোখের সামনে নালা থেকে উঠে আসছে একের পর এক মদের বোতল। এর জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নিকাশি নালা। সেই দৃশ্য দেখে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। জানান, এ বার দোকানের সামনে থেকে মদের বোতল পাওয়া গেলেই সেই দোকান বন্ধ করে দেবে পুরসভা।প্রতি বছর বর্ষায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে কোচবিহার শহর। এ বার সেই পরিস্থিতি এড়াতে আগে ভাগে নালা সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। প্রতি দিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় চলছে নিকাশি নালা পরিষ্কারের কাজ। রবিবার নালা পরিষ্কার করতে গিয়ে গত পুরবোর্ডকে বারবার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। বহুদিন ধরে নিকাশি নালার পরিষ্কার না হওয়ার কারণে প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে সে গুলি। রবিবার কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজার এলাকায় নিকাশি নালার পরিষ্কার করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুরসভার চেয়ারম্যানের। বাজার সংলগ্ন এলাকায় নিকাশি নালা থেকে উঠে আসে প্রচুর মদের বোতল। যা দেখে পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘যদি কারও মদ খাওয়ার থাকে তা হলে বাড়িতে বসে খাক। মদ খেয়ে নিকাশি নালায় মদের বোতল ফেলার কারণে নালাগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘প্রত্যেক দোকানদারকে সাবধান করা হবে। যদি কোনও দোকানের সামনে থেকে মদের বোতল উদ্ধার হয়, তা হলে ওই ব্যবসায়ীরই দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে।’’যদিও রবীন্দ্রনাথের মন্তব্যে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার ঢালাও মদের লাইসেন্স দিচ্ছে। মদের টাকায় চলছে রাজ্য। রাতের অন্ধকারে কে কোথায় মদ খেয়ে বোতল ফেলবে তার দায়ভার নিতে হবে ব্যবসায়ীদের! এটা অত্যন্ত হাস্যকর বিষয়।’’ তাঁর অভিযোগ, আগেও তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহার পুরবোর্ড ছিল তৃণমূল পরিচালিত। তারা নিকাশি নালাগুলো কোনও দিন পরিষ্কার করেনি। বছরের পর বছর ধরে আবর্জনা জমে নালাগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন ব্যবসায়ীদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে লাভ নেই। প্রতিনিয়ত নিকাশি নালা পরিষ্কার করা হলে শহর জলমগ্ন হবে না।’’