মেদিনীপুরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক:- মেদিনীপুরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরে তিনি কী ভাবে পৌঁছবেন? আকাশপথে হেলিকপ্টারে, না কি সড়কপথে গাড়িতে? গাড়িতে এলে শহরের কোন পথ দিয়ে তিনি পৌঁছবেন প্রশাসনিক বৈঠকস্থলে, সার্কিট হাউসে, দলীয় সভাস্থলে? শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ সব কিছুই স্পষ্ট হয়নি। এদিন একাধিক দফায় মেদিনীপুরে ‘অ্যাডভান্স সিকিউরিটি লিয়াজঁ’ (এএসএল) বৈঠক হয়েছে। ভিভিআইপি সফরের আগে এমন বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, বৈঠকেও ওই ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।মেদিনীপুর শহরতলির কুইকোটায় হেলিপ্যাড রয়েছে। প্রয়োজনে পুলিশ লাইন মাঠে কিংবা কলেজ মাঠেও হেলিপ্যাড করা যেতে পারে। একাধিক মহলের অনুমান, মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারেই মেদিনীপুর পৌঁছতে পারেন। তবে ওই সময়ে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকলে হেলিকপ্টার উড়বে না। আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে প্রয়োজনে সড়কপথেও মেদিনীপুরে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার নিজেই তাঁর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সফরের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দেন, ১০ মে, মঙ্গলবার তিনি মেদিনীপুরে আসবেন। ওই দিন বিকেলে মেদিনীপুরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। পরের দিন, ১১ মে, বুধবার দুপুরে মেদিনীপুরেই দলীয় বৈঠক করবেন তিনি। ওই দিনই মেদিনীপুর থেকে ঝাড়গ্রামে যাবেন।দলীয় বৈঠক হবে কলেজ-কলেজিয়েট স্কুল মাঠে। প্রশাসনিক বৈঠক হবে জেলা পরিষদ হল অর্থাৎ, প্রদ্যোত স্মৃতি সদনে। জানা যাচ্ছে, শনিবার শুরুতে ‘অ্যাডভান্স সিকিউরিটি লিয়াজঁ’ (এএসএল) বৈঠক হয়েছে প্রদ্যোত স্মৃতি সদনে। পরে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে। তারপরে কলেজ-কলেজিয়েট স্কুল মাঠে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে শনিবার মেদিনীপুরে জেলা পরিষদের সভাকক্ষেও বৈঠক হয়েছে। ছিলেন বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা। বৈঠক হয়েছে কালেক্টরেটের সভাকক্ষে। সেখানে ছিলেন জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, বিভিন্ন দফতরের জেলা আধিকারিকেরা।আসার রুট স্পষ্ট নয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের সূচি নবান্ন থেকে জেলায় চলে এসেছে বলেই জানা যাচ্ছে। জেলাশাসক রশ্মি কমল ও জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমারের দফতরে ওই সূচি পৌঁছেছে। বৈঠকে কারা কারা থাকবেন, সূচিতে তারও উল্লেখ রয়েছে। প্রশাসনিক বৈঠকে থাকবেন ডিভিশনাল কমিশনার, ডিএম, এসপি, এডিএম, এএসপি, এসডিও, ডিএসপি, এসডিপিও, আইসি, ওসি প্রমুখ। থাকবেন বিভিন্ন দফতরের জেলা আধিকারিক (লাইন ডিপার্টমেন্ট), বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিবাজীপ্রতিম বসু, বণিক সংগঠনের প্রতিনিধি প্রমুখ। কলকাতা থেকে আসবেন বিভিন্ন দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, প্রধান সচিব, সচিব প্রমুখ। জানা যাচ্ছে, আমলারা আসবেন বাসে করে। মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠক শুরু হবে বিকেল ৩টায়।মেদিনীপুরে এসে একাধিক রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রী যাতায়াত করবেন। কাল, সোমবার থেকেই মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হতে পারে। সড়কপথে এলে মুখ্যমন্ত্রী কোন রাস্তা ধরে শহরে ঢুকবেন, প্রশাসনিক বৈঠক, সার্কিট হাউস, দলীয় সভাস্থলে যাবেন তার একাধিক পরিকল্পনা সেরে রাখা হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। একাধিক মহলের অনুমান, দুর্যোগের পূর্বাভাস রয়েছে বলেই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর রুট চূড়ান্ত করা হচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে একাধিক যাত্রাপথের সূচি তৈরি রাখা হচ্ছে। এই সূচি তো ফের বদল হতে পারে? জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এই সূচি বদলে কোনও অস্বাভাবিকত্ব নেই। ভিভিআইপি-র নিরাপত্তার স্বার্থে তিন-চার রকম যাত্রার সূচি করা হয়ই। এটা রুটিন বিষয়।’’ তিনি বলেন, ‘‘সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটোই থাকবে।’’ তিনি শোনাচ্ছেন, ‘‘ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। সব সম্ভাবনা মাথায় রেখেই যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।’’ আজ, রবিবারও মেদিনীপুরে প্রশাসনিক প্রস্তুতি বৈঠক হতে পারে। বৈঠকে থাকতে পারেন জেলাশাসক।