|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- বন্যার ত্রাণের টাকা (Flood Relief Fund Scam) নয়ছয়ের অভিযোগ উঠল হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandra) ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতে। অভিযোগ টাকা ঢুকেছে প্রধানের স্বামী, উপপ্রধান ও বেশ কয়েকজন তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP) সদস্যের অ্যাকাউন্টে। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও জানিয়েছেন, টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শেষ হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ফের বন্যা ত্রাণের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠল মালদায়। কাঠগড়ায় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী, উপপ্রধান-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, টাকা ঢুকেছে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের অ্যাকাউন্টেও। অভিযোগ ওঠার পরপরই টাকা ফিরতে শুরু করেছে সরকারি তহবিলে। ২০১৭ সালে, হরিশ্চন্দ্রপুরের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতে ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এবার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতে উঠল টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ।ঘটনায় জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম (CPM) নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগ, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের একাংশ ত্রাণের টাকা পাননি। অভিযোগের পর দেখা যায়, কোথাও একই ব্যক্তির নামে ২-৩ বার টাকা ঢুকেছে। কোথাও আবার, এমন কারও নামে টাকা ঢুকেছে, যার ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত হয়নি। মালদার সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য মীরাজুল ফিরদৌসের বক্তব্য, ‘প্রধানের স্বামী, উপপ্রধান এবং শাসক দলের একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্যের নামে টাকা ঢুকেছে। টাকা ঢুকেছে ৩ বিজেপি সদস্যের অ্যাকাউন্টেও। এখন টাকা ফেরত দিতে শুরু করেছে। যাঁদের নামে টাকা এসেছে, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা, তাঁরাই টাকা পাননি।’অভিযোগকারী বিজয় রায়ের দাবি, ‘কোনও টাকা পাইনি। সব বিত্তশালীদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে।’ অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর দাবি, টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।এমন ঘটনার পর বিজেপির দাবি, এর নেপথ্যে রয়েছে কোনও ষড়যন্ত্র। অন্যদিকে তৃণমূলের মন্তব্য, আইন আইনের পথে চলবে। উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সম্পাদক কিষাণ কেডিয়া বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগেই জানতে পেরেছি। প্রধান উপপ্রধানের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। কিন্তু বিজেপির অ্যাকাউন্টে টাকা? ষড়যন্ত্র হয়েছে। অভিযোগ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’অন্যদিকে, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্ত বলছেন, ‘আইন আইনের পথে চলবে। তালিকার সময় গরমিলে বিষয়টা ধরা পড়ে। যারা যুক্ত তারা টাকা ফেরাতে শুরু করেছে।’এবিষয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও জানিয়েছেন, প্রশাসনের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছিল। বেশ কিছু পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁদের আত্মীয়দের ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর আমরা শতাধিক ব্যক্তিকে নোটিস পাঠাই। টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শেষ হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই ঘটনায় আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে সিপিএম জেলা নেতৃত্ব।