|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার কাজ চলাকালীন দোতলায় পাইপ ফেটে বিপত্তি। মুহূর্তে রোগী ভর্তি ওয়ার্ডে জল ঢুকে ভেসে গেল জিনিসপত্র। রোগী নিয়ে বিপাকে পরিজনরা। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনায় নাজেহাল হাসপাতালের কর্মীরাও।হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুরনো বিল্ডিংয়ের একতলায় থ্যালাসেমিয়া ওয়ার্ডে এই বিপত্তি ঘটে। ওই ওয়ার্ডের পাশে থাকা সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় ওঠার মুখে রয়েছে অগ্নিনির্বাপণের জল সরবরাহের পাইপলাইন। ওই বিল্ডিংয়ের পাইপলাইন পরীক্ষা করতে হাজির হয়েছিলেন দমকল কর্মীরা। তখনই পরীক্ষা করার সময় হঠাৎ হাসপাতালের ভিতরে থাকা পাইপ ফেটে যায়।দমকলের লোকজন বাইরে থেকে পরীক্ষা করে চলে যান পাইপ ফাটার বিষয়টি না জেনেই। দুপুর ১টা নাগাদ হঠাৎ করে সেখান থেকে হুড়মুড় করে জল ঢুকে যায় একতলার বিভিন্ন অংশে। পাশেই থাকা থ্যালাসেমিয়া ওয়ার্ডে হুড়মুড় করে জল ঢুকে মেঝেতে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র ভেসে যায়। রোগীরা তাঁদের জিনিসপত্র যথাসম্ভব সরিয়ে নেন। মেঝে বা অন্যত্র থাকা রোগীরা অন্যান্য রোগীর বেডে উঠে পড়েন ঠাসাঠাসি করে। ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায় ওই ওয়ার্ডে। ওয়ার্ডের সামনে থাকা রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন রোগী ও চিকিৎসকদের যাতায়াতেও সমস্যা তৈরি হয়।এক রোগীর আত্মীয় সমাপ্তি ঘোষ বলেন, হঠাৎ করে দেখলাম হুড়মুড় করে জল ঢুকে পড়ছে ওয়ার্ডে। মেঝেতে যাঁরা ছিলেন তাঁদের জিনিসপত্র ভিজে যায়। রোগীদের পায়ের চপ্পল বা জুতোগুলো পর্যন্ত ভেসে গিয়েছে অনেকের। তমাল কর নামে অন্য এক রোগীর আত্মীয় বলেন, ঘটনার পরেই দায়িত্বে থাকা নার্স-রোগীরা জানিয়েছেন হাসপাতালের আধিকারিকদের। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কোনও ব্যবস্থাই কেউ নেয়নি।হাসপাতালের ফেসিলিটি ম্যানেজার সঞ্জীবকুমার গোস্বামী বলেন, কোনও একটি পাইপ টেস্টিং করতে গিয়ে অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের পাইপলাইন ফেটে গিয়েছে। দমকলের লোকজন আমাদের না জানিয়েই এই টেস্টিং করেছিল। তা থেকে এই সমস্যা হয়েছে। আমরা পূর্ত দফতর ও সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত মেরামতের জন্য জানিয়েছি।