|
---|
বাবু হক,নতুন গতি:
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানার বালিচক রঘুনাথপুর ক্রাইস দ্যা কিং মিশন চার্চ ও মা ঙ্গান্নামা আশ্রমে বালচকে প্রভু যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানঘিরে মাতোয়ারা সকলে চার্চ, মা ঙ্গান্নামা আশ্রমের আবাসিক মেয়েরা সিস্টারদের সহযোগিতা ও পরামর্শে হোষ্টেল এবং পাশাপাশি বিভিন্ন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের গ্রাম পাড়া ও বাড়ি বাড়ি তে খ্রিস্টান ধর্মীয় অনুভূতিতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পর্যায়ক্রমে দীর্ঘ প্রায় চার সপ্তাহের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, ঠিক বাঙালির সনাতন ধর্ম বা হিন্দু সম্প্রদায়ের বড়ো পূজা দূর্গা পূজা, ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মত মুসলিম ধর্মীয় অনুভূতিতে উৎসবের আমেজ থাকে ঈদের নামাজে।২৪ ডিসেম্বর রাত ১২ টার আগে থেকে ধারাবাহিকভাবে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রন্থ বাইবেল থেকে আলোচনা করা, সকলের শুখ শান্তি মঙ্গল সমৃদ্ধি কামনা করে,ঐক্য সংহতি সেবা কর্মে নিয়োজিত থাকতে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। ধর্মীয় আঁধারে মোমবাতি মিছিল সহকারে চার্চের ফাদার কে আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রভু যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত খৃষ্টান ধর্ম অনুষ্ঠান পর্যায়ক্রমে পরিচালনা করতে বিশেষ সহকারী ও উপস্থিত ভক্ত মণ্ডলী সমবেত হন সাধ্যমত নতুন বস্ত্র পরে আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব পরিবারের সদস্যরা মহিলা ও শিশু, পুরুষ উভয়েই মিলিত হন, চার্চে , ফাদার সিস্টারকে ও বয়স্কদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন । বাইবেল থেকে আলোচনা ও ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । রং বেরঙের ফুল মোমবাতি আধুনিক প্রযুক্তির বিদ্যুতের টুনি বাল্ব জ্বালিয়ে গৃহে, পূর্ব পুরুষদের কবরস্থানে,ব্যাবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, চার্চে, পাড়া গ্রামে, পথেঘাটে, মিশন, ক্লাব সমিতি সংঘ ভবনে আকর্ষণীয় ও মনোরঞ্জন করতে সজ্জিত করা হয়েছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয় গৃহ থেকে পাড়া গ্রামে , বাড়ি বাড়ি সাধ্যমত রাজকীয় নানান রকমের খাবার আয়োজন করা হয় চার্চ, গৃহে গৃহে বিভিন্ন ধরনের কেক কেটে খৃষ্টান ধর্ম গুরু প্রভু যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন পালন করা হয় কথিত আছে ২৫ ডিসেম্বর থেকে দিন বড় রাত ছোট হয় শীতের মরসুমে কেউ কেউ আবার বলেন শীতকালীন শাকসবজির ফসল প্রভু কে উৎসর্গ করতে হয় চলে নানা পদের পিঠে পুলি সঙ্গে খেজুর রস ও গুড়ের সন্দেশ মোয়া পায়েস পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে সব মিলিয়ে সার্বজনীন চেহারা নিয়ে এলাকাগুলোতে গ্রামীণ সংস্কৃতি লোকসংস্কৃতি ধর্মীয় অনুভূতিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঘিরে এলাকায় উন্মাদনা সৃষ্টি হয়। চার্চে প্রার্থনা শেষে চা কফি বিস্কুট, কেক উপস্থিত ভক্ত মণ্ডলী কে দেওয়া হয়। দীর্ঘ চার সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে ধর্মীয় ও সামাজিক ভাবে পালন করা হয়।