নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাগআঁচড়ার করমচাপুলি গ্রামের ২৬ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শেষমেশ কিনা ডাল চুরি

নিজস্ব সংবাদদাতা : তেল নয়। চাল,আলু কিংবা ডিমও নয়। শেষমেশ কিনা ডাল (lentil) চুরি (Theft)?নদিয়ার (nadia) শান্তিপুর ব্লকের বাগআঁচড়ার করমচাপুলি গ্রামের ২৬ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের  (Anganwadi Centre) ঘটনায় যত বেশি হইচই,তার থেকেও বেশি কৌতূহল। এত কিছু থাকতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে চোরে ডাল নিয়ে গেল? তবে কি ডালই তাঁর প্রিয়? আপাতত চুরির কিনারার থেকে এই রহস্য সমাধানে বেশি আগ্রহ স্থানীয়দের অনেকের।অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি শিক্ষিকা সঞ্চিতা হালদার জানালেন, আর পাঁচটা দিনের মতো গত কালও তালা মেরে বাড়ি ফিরে যান সেখানকার কর্মীরা। আজ সকালে ফের কাজে আসেন। কিন্তু কেন্দ্র খোলার আগেই নজরে আসে, সব কিছু তছনছ হয়ে গিয়েছে। গ্রিলের দরজার তালা ভাঙা। ভিতরে অনেক কিছুই ওলোটপালোট। কী কী চুরি গিয়েছে, উৎকণ্ঠায় তন্ন তন্ন করে খোঁজা শুরু করেন তাঁরা। তাতে আর এক প্রস্ত চমক।রান্নার বাকি যা সামগ্রী ছিল, সব যেই কে সেই রয়েছে। ভোজ্য তেল থেকে চাল, ডিম, আলু এমনকী মশলার একচুলও সরানো হয়নি। নেই বলতে একটি জিনিস। মুসুরি ডালের বস্তা। ২১ কিলোগ্রাম ওজনের বস্তাটি থেকে মাত্র ৮ কিলোগ্রাম ডাল রান্না হয়েছিল। সেই বস্তাটিই উধাও। কিছু ডাল রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে। চুরির খানিক নজির আর কী! বাকিটা গায়েব। কে বা কারা নিয়ে গিয়েছে এখনও স্পষ্ট নয়। গত জানুয়ারিতে হাওড়ার ডোমজুরেও কার্যত একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল বলে খবর। রাতের অন্ধকারে সেখানকার ‘শিশু আলয়’ নামে এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে হানা দেয় চরের দল। দরজার তালা ভেঙে তারা ভিতরে ঢুকেছিল বলে অভিযোগ। দু’বস্তা চাল, দেড় বস্তা ডাল, সাত কিলো সরষের তেল মজুত ছিল সেখানে। ছিল মশলাপাতি এবং প্রচুর বাসনপত্র ছিলও। সব কিছুই গুছিয়ে নিয়ে যা তারা। পেটের তাগিদেই এমন কাজ, ধারণা ছিল স্থানীয় প্রশাসনের।

    কিন্তু এবারের চুরির উদ্দেশ্য়ই বুঝতে পারছেন না কেউ। শুধু ডাল দিয়ে কার কী লাভ?