|
---|
বীরভূম: দেউচা-পাচামি এলাকার পাথর শিল্পাঞ্চল খোলা নিয়ে সোমবারের বৈঠকের পরেও খুলল না জট। এদিকে গত ১৫ দিন ধরে এলাকার খাদান ও পাথরভাঙা কল বন্ধ থাকায় চরম আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন কলে খাটা শ্রমিকরা।
জেলাশাসক বিধান রায় জানান, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুকূল হলে খোলার ভাবনা করা যেতে পারে।
প্রস্তাবিত কয়লা খনির জন্য পাথর শিল্পাঞ্চলকে ঘিরে রাজনীতি শুরু করেছে বহিরাগতরা। পাথর মালিকদের দাবি, যার জেরে আদিবাসী নেতারা ‘চড়কা’ পুঁতে পাচামি এলাকার সব পাথর খাদান, পাথর কল বন্ধ করে দেয়। তাতে এলাকার ৭৫০ টির বেশি কল বন্ধ। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার শ্রমিক। অথচ প্রায় দু’বছর পরে এই সময়ে পাথরের চাহিদা চরমে উঠেছে।
সংগঠনের সম্পাদক সৈয়দ ফজলে হক জানান, “কয়লা খাদান (Coal Mine) বিরোধী যে আদিবাসীরা এলাকা বন্ধ করে দিয়েছেন, তাঁরা শর্তসাপেক্ষে ফের এলাকা খুলতে চাইছেন। তাঁদের দাবি, সপ্তাহে একদিন শিল্পাঞ্চল বন্ধ রেখে কয়লা বিরোধী আন্দোলনে শামিল হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। চারাইয়ের জন্য বাড়তি দর দিতে হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আদিবাসীরা এলাকা খুলতে চাইলেও আমরা খুলতে রাজি হচ্ছি না।” সবদিক বিবেচনা করে সোমবার বিকেলে জেলাপ্রশাসনের ডাকে পাচামি পাথর ওনার্স অ্য়াসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা বৈঠক করেন।
উল্লেখ্য, জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসংঘের নামে মহিলাদের সামনে এগিয়ে দিয়ে ফায়দা লুটতে চাইছে খনি বিরোধী সংগঠনগুলি। তৃণমূলের আদিবাসী নেতা সুনীল সোরেন জানান, প্রথম পর্যায়ে যে হরিনসিঙা, দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় কয়লা উঠবে সেখানে কোনও ঝামেলা নেই। আশপাশের বহিরাগতরা জেঠিয়া, বারোমেসিয়া, হাবড়াপাহাড়ি, ঢোলকাটা থেকে এসে শিল্পাঞ্চল বন্ধ করে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে। যার জেরে সাধারণ শ্রমিকরা খুব কষ্টে আছে। জেলাশাসক বিধান রায় জানান, “কয়লার জন্য বিরোধিতার নামে পাথর খাদান বন্ধ করে যারা ক্ষীর খেতে চাইছে, তাদের চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। বহিরাগতরা এলাকায় ঢুকে একটা অশান্তির চেষ্টা করছে। তাই কষ্ট হলেও আপাতত খাদান বন্ধ থাকছে। এলাকায় শান্তি ফিরলে এলাকাবাসীদের নিয়ে ফের বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।”