রামপুরহাট ২নং ব্লকের প্রাণীসম্পদ বিকাশের হাঁসের বাচ্চা বিতরণ।

নিশির কুমার হাজরা, বীরভূম : সম্প্রতি বীরভূমের রামপুরহাট ২নং ব্লকের বেনেগ্রাম কৃষাণ মান্ডিতে, রামপুরহাট ২নং সমষ্টি উন্নয়ন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের পক্ষ থেকে মাড়গ্রাম ব্লকের অধিনস্ত সকল গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্যদের হাতে হাঁসের বাচ্চা তুলে দিলেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের আধিকারিক অর্ণব চক্রবর্তী ও কর্মধক্ষ্য সুপ্রিয় কুমার মন্ডল।

    এদিন উপভোক্তাদের হাতে মোট ৩ হাজার হাঁসের বাচ্চা প্রদান করেন। এর আগে বকনা বাছুর দেওয়া হয়েছিল এবং আগামী দিনেও ছাগল-ভেড়া প্রদানে কর্মসূচী রয়েছে বলে জানান প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের আধিকারিকেরা।

    প্রসঙ্গত, পরিবারের আয় বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকার নানা প্রকল্পের সূচনা করেছেন অনেক আগেই। কিন্তু বর্তমানে বাস্তবায়িত হয়েছে খুব কম সংখ্যক। এ কথা বলার কারণ বীরভূমের মোহাম্মদ বাজার থানার গনপূর পঞ্চায়েতের অধীনে একটি হাঁস প্রতিপালন এর ফার্ম রয়েছে। যা মোহাম্মদ বাজার পঞ্চায়েত সমিতির তহবিল হতে ওই ফার্ম নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে ওই ফার্মে কোন হাঁস পোষা হয় না। সেখানে গ্রামের মানুষ জঙ্গলের কাঠপাতা এবং চাষ জমির খর এবং অন্যান্য সামগ্রী মজত করে রেখেছেন।

    তাই পরিবারের আয় বৃদ্ধির জন্য সরকারের যে সুচিন্তিত প্রকল্প। সেই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার আগে গ্রামের মানুষদের চেতনা বৃদ্ধি এবং তার পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। প্রশিক্ষণ না থাকলে তাদের হাঁসের বাচ্চা কিনে দেওয়াই হবে। সেই বাচ্চা আদৌ মানুষ হবে না বা বড় হয়ে উঠবে না। এবং সেই পরিবারের কোনো আর্থিক উন্নতি হবে বলে মনে হয় না।

    পরবর্তী পর্যায়ে ব্লক আধিকারিক যখন ওই পরিবারের খোঁজখবর নেবেন যে তাদের হাস প্রতিপালন চলছে কিনা। দেখা যাবে সেই হাস হয় শৃগাল কুকুরের পেটে ঢুকে গেছে নতুবা মারা গেছে বলে খবর পাওয়া যাবে। তাই এ ধরনের দুঃসংবাদ শোনার আগে সরকারি খরচে পরিবারের প্রত্যেক টি মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। যাতে তারা পরিবারের আয় বৃদ্ধির জন্য এ ধরনের প্রকল্পের আওতায় আসতে পারে। এই সুচিন্তিত ব্যাখ্যা দিলেন রামপুরহাট হাই স্কুলের জনৈক শিক্ষকমন্ডলীর একাংশ।