তিনমাস আগে নিহত নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে তার মা এবং তার পরিবারের সাথে দেখা করলেন জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা :তিনমাস আগে নিহত নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে তার মা এবং তার পরিবারের সাথে দেখা করলেন জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ। তিন মাস আগে পাড়ার এক যুবক নৃশংসভাবে মেরে ফেলেছিলো কৃষনা দাসের মেয়েকে। মেয়ের খুনিকে ধরতে দিন রাত এক করে দিয়েছিলেন নাবালিকা ডলি দাসের বাবা মা। জেলার নেতাদের দরজায় দরজায় ঘুরে ঘুরে তারা দোষীকে ধরতে এবং তার বিচার চাইতে মানুষের কাছে হাতজোর করে দৌড়াতে দৌড়াতে একের পর এক রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের দরজাতে দরজাতে ঘুরছিলেন।অবশেষে গত পরশুদিন মাটিগাড়া থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে জীবন দাসকে। তাকে গ্রেপ্তার করতে জলপাইগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। উল্লেখযোগ্য আজ থেকে ঠিক তিন মাস আগে ডিসেম্বর মাসের আঠেরো তারিখে নৃশংসভাবে খুন হয় ওই নাবালিকা। তারপর থেকেই পুলিশ হন্য হয়ে খুজে বেড়াচ্ছিল। এদিকে নাবালিকাকে মেরে খুন করবার জন্য ওই যুবক জীবন দাসকে হন্য হয়ে খুজে বেড়াচ্ছিলো মাটিগাড়া থানার পুলিশ।ধরতে না পারবার জন্য পুলিশের সমালোচনাও চলছিল প্রচুর। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করে মাটিগাড়া থানার পুলিশ।আজ নিহত নাবালিকা কৃষনা দাসের সাথে দেখা করলেন জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ। জেলা সভাপতিকে সামনে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত নাবালিকার বাবা এবং মা।তারা দোষী জীবন দাসের কঠোর শাস্তির দাবী জানান জেলা সভাপতির কাছে।তারা জানান তাদের ফুলের মত মেয়েকে যারা এইভাবে খুন করল তাদের কোনভাবেই এই পৃথিবীতে থাকা উচিত নয়।জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ তাদের শান্তনা দিয়ে জানান তিনি তাদের পাশে সবসময় আছেন।তিনি গোটা ব্যাপারটা দেখবেন।তিনি এও জানান তিনি সবসময় তাদের পাশে আছেন।যেকোন প্রয়োজনে তিনি চলে আসবেন।পাপিয়া ঘোষ আরো জানান আমি জানি এই ক্ষতিপূরন পূরন করা কোনভাবেই সম্ভব নয় তবুও তিনি চেষ্টা করবেন তাদের যাতে এই ক্ষতির কিছুটা পূরন হয়।জেলা সভাপতিকে কাছে পেয়ে এলাকার বাসিন্দারাও তাদের ক্ষোভের কথা জানান। বাসিন্দারা জানান এই এলাকায় দিনের পর দিন বেড়েই চলছে অপরাধ অথচ কোন সুরাহা হচ্ছে না।জেলা সভাপতি জানান তিনি তাদের পাশে আছেন এবং এই ব্যাপারটি নিয়ে তিনি পুলিশ কমিশনারের সাথে কথা বলবেন।