দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আবার গাজন উৎসব বন্ধ আনন্দপুরে

সেখ মোহাম্মদ ইমরান,নতুন গতি,আনন্দপুর:-পশ্চিম মেদিনীপুরের কানাশোল গ্রামের শিব মন্দিরটি হাজার বছরের পুরনো। এই শিবমন্দিরটি বাবা ঝাড়েশ্বরের মন্দির নামে এলাকায় খ্যাত। এই মন্দির প্রাঙ্গণে প্রতিবছর গাজন মেলা হয়। এই গাজন মেলা উপলক্ষে ফিবছর এক মাস ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। এই গাজনে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্য থেকেও প্রচুর ভক্তরা এখানে আসেন। কিন্তু এই বছর করোনা ভাইরাসের কারণে অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। তবে নিয়মমত প্রতিদিন মন্দিরে নিত্যপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্দিরের পুরোহিত সুনীল মিশ্র জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ১৯৪১সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্ল্যাক আউটের জন্য একবার গাজন উৎসব বন্ধ হয়েছিল। তারপর আবার করোনা মহামারীর কারণে এই বছর বন্ধ করা হল। সঙ্গে ঝাড়েশ্বর মন্দির প্রাঙ্গণে নীল পুজাও বন্ধ করা হয়েছে । মন্দিরের উৎপত্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, এলাকাটি আগে ঝোপ জঙ্গল ছিলো। আদি পুরুষ শিতলানন্দ এর বাড়ি ছিল উত্তর চব্বিশপরগনার অলিয়াদহ গ্রামে। তাকে স্বপ্ন দেখায় আমি কানাশোলের এইখানে আছি এবং আমাকে খনন করে প্রতিষ্ঠা করো। জায়গাটি চেনার উপায় বলে দেন যে ওই জঙ্গলে রাখালরা নিয়মিত যেখানে গোরু চরায়।এবং ওখানে একটা গাভী আশ্বিন মাসে প্রতিদিন দুধ দেয়। পরিবর্তি কালে আদি পুরুষ।শীতলানন্দ এখানে এসে জায়গাটি নিদর্শন করে ঝাড়েশ্বর মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত করেন। ঝাড়েশ্বরের সামনে আলাল দীঘিটা খনন করেছিল সোনাপেতার জমিদার আলাল দেব। তার নামানুসারে ওই দীঘির নাম আলাল দীঘি। বিশ্বের ভয়াবহ করোনাভাইরাসের লকডাউনের কারণে শিবমন্দিরের গাজন উৎসব ও জমায়েত স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানান এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী বিশ্বজিৎ বড়দোলই।