হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লক পরিদর্শন করলেন জেলাশাসক রাজশ্রী মিত্র

 

    হরিশ্চন্দ্রপুর,মহ: নাজিম আক্তার,৭ ডিসেম্বর: শনিবার বেলা বারোটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের ভিঙ্গল ও মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত পরিদর্শন করলেন জেলাশাসক রাজশ্রী মিত্র।জেলা শাসক ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন, চাঁচল মহকুমা শাসক সব্যসাচী রায়, মালদা জেলা পরিষদের এ ডি এম অরুন কুমার রায়,হরিশ্চন্দ্রপুর- ১নং ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বাণ বসু ও যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মধুরিমা চক্রবর্তী, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কোয়েল দাস সহ এলাকার স্থানীয় নেতারা।

    এদিন পায়ে হেঁটে ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঠ-ঘাট, রাস্তা, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাংলা আবাস যোজনার ঘর ,উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ভগ্নি নিবেদিতা পার্ক পরিদর্শন করলেন। মাঠে গিয়ে চাষিদের সঙ্গে সরাসরি কথাও বললেন।চাষবাস কে যাতে আরও বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিতে উন্নতি করা যায় তা পরামর্শ দিলেন। কলা চাষীদেরকে সরকার থেকে ভর্তুকি দেওয়ারও আশ্বাস দেন।জেলাশাসক কে সামনে পেয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাদের অভিযোগ জানালেন।পিংকি দাস নামে এক মহিলা ঘরের আবেদন করেন। সে জেলা শাসকের কাছে তার করুণ কাহিনি তুলে ধরেন। জানান সে একজন দিনমজুর। দিন খাটে দিন খায়। স্থানীয় নেতাদের বলেও আজও পর্যন্ত তার মাথা গোজাবার জন্য ঘর হল না। জেলাশাসক ভিডিও অনির্বাণ বসু কে বলে তার পাকা ঘর করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এছাড়াও উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রবেশ করে বিভিন্ন রকম ঔষধ পর্যবেক্ষণ করেন,প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের উপর নানা প্রশ্ন করেন।এমএমডি স্কিম গুলো মাঠে গিয়ে পরিদর্শন করেন এবং লেবারদের কার্ড নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করেন।

    অপরদিকে মহেন্দ্রপুর জিপির ভবানীপুর ব্রিজ মোড়ে দোকানদারদের অভিযোগ শোনেন। জানা যায়, ৮১ নং জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের ফলে রাস্তার দুই ধারের দোকান গুলি ভেঙে ফেলেছে। তারা কিভাবে সংসার চালাবে তা চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে। এদিন জেলাশাসক কে কাছে পেয়ে তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। স্থানীভাবে তাদের দোকানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন জানান। সামসি নিয়ন্ত্রিত তুলসিহাটা মার্কেটের দোকান ঘর গুলি দেওয়ার আশ্বাস দেন।