বহরমপুর রেল স্টেশনে অকারণে ঘুরছে ফ্যান জ্বলছে লাইট হুশ নেয় কর্তৃপক্ষর

আজিম শেখ ও চন্দ্র প্রকাশ সরকার, মুর্শিদাবাদ: শীত এখনও সেভাবে আসেনি ঠিকই, তবে শীত শীত ভাব এসে গেছে। বয়স্ক প্রাতঃভ্রমণকারীরা কেউ কেউ গলায় মাফলার জড়িয়ে নিতে শুরু করেছেন। অন্তত প্রাত:কালে ফ্যান চালানোর মতো গরম আর পড়ছে না। অথচ সকাল পোনে ছটায় জনশূন্য বহরমপুর রেল স্টেশনে পাঁই পাঁই করে ঘুরছে ৪৩টি ফ্যান ! এক নম্বর প্লাটফর্মে ৩৭টি এবং দু’নম্বর প্লাটফর্মে ৬টি। অনেক সময় যাত্রীরা গরমে গলদঘর্ম হলেও ফ্যান ঘোরে না, বা পর্যাপ্ত ফ্যানই থাকে না (এখনও যেমন দু’নম্বর প্লাটফর্মে নেই)। অথচ অকারণে এতগুলো ফ্যান চলছে! কেন,ফ্যান চালাতে কি বিদ্যুৎ লাগে না ? নাকি বিদ্যুতের জন্য সরকারি অর্থ খরচ হয় না ? শুধু ফ্যানই চলছে না,বেলা পর্যন্ত জ্বলছে সমস্ত লাইটও ! অথচ প্লাটফর্মের অদূরেই লেভেল ক্রসিং এলাকাটি সন্ধ্যা থেকে সকল পর্যন্ত ডুবে থাকে অন্ধকারে। কয়েক বছর আগে সেখানে একটি সুউচ্চ বাতিস্তম্ভ বানানো হয়েছিল। রাতভর মালগাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলেই কেবল বাতি জ্বালানো হতো, মালগাড়ি না থাকলে জ্বলত না বাতিও। অর্থাৎ মানুষের জন্য নয়, জিনিসের জন্য আলো জ্বালায় ভারতীয় রেল! বছর খানেক আগে থেকে বহরমপুর স্টেশনে মালগাড়ি আর হল্ট করে না। মালগাড়ি বিদায়ের সাথে সাথে বাতিস্তম্ভটিকেও উৎপাটিত করা হয়েছে।