ইলেকট্রিকের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক সিভিকের

সংবাদদাতা, মোথাবাড়ি : আবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল কালিয়াচক-২ ব্লকে রাজনগর এলাকায়। এবার এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো। এই নিয়ে মোথাবাড়িতে পর পর ২ জনের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো। বৃহস্পতিবার এক প্রৌঢ়ের মৃত্যুর পর শুক্রবার এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। এদিন ডিউটি যাওয়ার আগে এক প্রতিবেশি বাড়িতে তিনি বিদ্যুৎ মেরামতির কাজে যান। সেখানেই তড়িতাহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে সিলামপুর পরে মালদা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম কৈলাসচন্দ্র দাস(‌৩৫)‌। তাঁর বাড়ি সংশ্লিষ্ট ব্লকের মোথাবাড়ি থানার রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াগ্রাম টিটিপাড়া এলাকায়। পরিবারে রয়েছে স্ত্রী গীতা দাস ও ২ ছেলে-‌মেয়ে নিয়ে ছিল তাঁর সংসার। একটি মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে এবং ছেলের বয়স ৮ বছর। মোথাবাড়ি থানায় কর্মরত ছিলেন। কৈলাস সিভিক ভলেন্টিয়ারের পাশাপাশি ফাঁকা টাইমে ইলেকট্রিক মিস্ত্রিও ছিলেন। শুক্রবার সকালে ডিউটি যাওয়ার আগে তিনি ইলেকট্রিকের কাজে যান। এক প্রতিবেশির বাড়িতে কাজ করার সময় ছাদে উঠে ইলেকট্রিকের মেরামতির কাজ করছিলেন। ওই সময় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে পড়ে যান। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার পরিবার সহ গোটা গ্রামে। এদিন মৃতদেহ মোথাবাড়ি থানায় আনা হয় এবং পুলিশ এর তরফে মোথাবাড়ি থানার ওসি মৃণাল চ্যাটার্জি সহ বিভিন্ন পুলিশ কর্মীরা পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন । এই বিষয়ে মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার এর দাদা গোপালচন্দ্র দাস জানান, ‘‌আমার ভাই সিভিক ভলেন্টিয়ার কাজের পাশাপাশি ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিল। আজ সকালে গ্রামে কাজ করতে গিয়ে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। আমরা ভাবতেই পারি নি যে ভাইয়ের মৃত্যু হয়ে যাবে।’‌ তার অকাল মৃত্যুতে গোটা পরিবার শোকসাগরে পড়ল। খুব পরিশ্রমী ছিল ভাই কৈলাশ।