বোলপুরে বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স

শেখ কামাল উদ্দীন : গত ৫ই মার্চ নব প্রতিষ্ঠিত বোলপুরের বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বাংলা ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতি : জাতিসত্তার নির্মাণ, ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার’ বিষয়ে’ আন্তর্জাতিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো। বিশ্ববিদ্যালয় ও একুশে চেতনা পরিষদ যৌথভাবে এই কনফারেন্সের আয়োজন করে। শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন। প্রদীপ উজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে এই কনফারেন্সের সূচনা করেন উপস্থিত অতিথি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক দিলীপ কুমার মাইতি। মাননীয় উপাচার্য তাঁর প্রারম্ভিক ভাষণে উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানান। তিনি বিদগ্ধ পন্ডিতদের বক্তব্য শুনে নিজেদের উপযুক্তভাবে তৈরি করার জন্য ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ দেন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা মুনমুন গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এই প্রথম আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন। অন্যতম আয়োজক সংস্থা আমেরিকার ‘একুশে চেতনা পরিষদ’এর সভাপতি ও এই কনফারেন্সের প্রধান অতিথি ড. ওবাইদুল্লাহ মামুন একুশে ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বিভিন্ন ভাষা বিলুপ্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি পরবর্তীকালে বিভিন্ন বক্তা ও প্রবন্ধ উপস্থাপকদের গবেষণাধর্মী লেখা নিয়ে একটি গ্ৰন্থ প্রকাশের আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে। সূচক বক্তৃতা দেন শিক্ষাবিদ, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক পবিত্র সরকার। তিনি মাতৃভাষা শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ইংরাজী ভাষা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। কিন্তু বিভিন্ন ভাষা মিশিয়ে জগাখিচুড়ি ভাষার প্রতিবাদ জানান। কনফারেন্স উপলক্ষে প্রথম অধিবেশনে আরও যাঁরা বক্তব্য উপস্থাপন করেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিমবন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অলক কুমার চক্রবর্তী, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক ড. মঙ্গিলাল তাপাড়িয়া, পরীক্ষা নিয়মক ড. প্রসূন ব্যানার্জী, বিত্ত আধিকারিক শ্রী পার্থ নারায়ণ ঘোষ, কনফারেন্সের আহ্বায়ক ড. সৌভিক মজুমদার প্রমুখ। দ্বিতীয়ার্ধে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত প্রতিনিধি ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অধ্যাপিকা এবং ছাত্রছাত্রীরা গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন।সমগ্ৰ কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা জলি ভট্টাচার্য।