|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। ইতিমধ্যে কয়েকটি পরীক্ষা হয়েও গিয়েছে। এরই মধ্যে জলপাইগুড়িতে বাধল গণ্ডগোল। দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে মারামারি। শুধু তাই নয় একে অন্যের উপর ব্লেড দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগও উঠে এসেছে।
ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ি শহরেরে আনন্দ মডেল হাইস্কুলের। শনিবার মাধ্যমিকের জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা ছিল। এই বছর আনন্দমডেল স্কুলের পরীক্ষার সিট পড়েছে জেলা স্কুল ও কালিয়াগঞ্জ উত্তমেশ্বর হাই স্কুলে। অভিযোগ, সিট নম্বর তুলে দেওয়া নিয়ে প্রথমে শৌচাগারে দুই পড়ুয়ার মধ্যে বচসা বাধে। পড়ে সেই বচসা পৌঁছায় হাতাহাতিতে। যেহেতু পরীক্ষা চলছিল সেই কারণে সাময়িক ভাবে ঝামেলা কিছুটা হলেও থেমে যায়।
এরপর শনিবার বিকেলে পরীক্ষা শেষ হতেই অভিযোগ যে, জেলা স্কুলের একাংশ পড়ুয়া স্কুলের বাইরে উত্তমেশ্বর হাই স্কুলের ছাত্রদের মারধর করে। ব্লেড দিয়ে তাদের হাত কেটে দেয়। এতে সংশ্লিষ্ট স্কুলের তিন ছাত্র জখম হয় বলে খবর। ঘটনা প্রসঙ্গে মোজাঙ্গির আলী নামে এক ছাত্র জানায়, “প্রথমে সিট নম্বর তুলে দেওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়। পরে আমরা ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু আজ পরীক্ষার পর ওরা ফের আমাদের উপর হামলা করল।”
গোটা ঘটনায় রাহেনা খাতুন নামে এক অভিভাবিকা বলেন, “কালিয়াগঞ্জ স্কুলের ছাত্রদের সিট নম্বর তুলে দিয়েছিল জেলা স্কুলের পড়ুয়ারা। সিট নম্বর তুলে দেওয়া নিয়ে বচসা চলছিল। আজ পরীক্ষার পর কালিয়াগঞ্জ স্কুলের ছাত্ররা আনন্দমডেল স্কুলের বাইরে বের হলে জেলা স্কুলের ছেলেরা তাদের উপর দলবেঁধে ঝাপিয়ে পড়ে। শুরু হয় মারামারি। যখম হয় কালিয়াগঞ্জ স্কুলের কয়েকজন। আমি পুলিশ ডেকে কোনও মতে ঝামেলা মেটাই। এখন থানায় যাচ্ছি।”অন্যদিকে, জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধর্মচাঁদ বাড়ৈও বলেন, “ছাত্রদের মধ্যে একটি সমস্যা হয়েছিল। বিষয়টি উভয়পক্ষ মিলে মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগামীতে যাতে উভয় স্কুলের ছাত্ররা ভাল মত পরীক্ষা দিতে পারে সে বিষয়টি দেখা হবে। পাশাপাশি আমরাও সেখানে উপস্থিত থাকব বলে জানান তিনি।” এদিকে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত পড়ুয়াদের শাস্তির দাবি তুলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে জখম তিন পরীক্ষার্থী। ওই তাদের অভিভাবক এবং শিক্ষকরা।