ফের সামসেরগঞ্জে ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক:- ফের সামসেরগঞ্জে ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় সামসেরগঞ্জের চশকাপুরে রাস্তার ধারের একটি জঙ্গল থেকে ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বোম্ব স্কোয়াড। জায়গাটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে। বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কে বা কারা বোমাগুলো সেখানে রেখেছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।প্রসঙ্গত,   গত শুক্রবার সকালেই ফরাক্কার হাজারপুর গ্রামে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পিছনে লিচু বাগান থেকে বোমা ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পাশ থেকেই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। সপ্তাহ ঘোরার আগেই ফের এলাকায় বোমা উদ্ধার ।মুর্শিদাবাদের দুটি পৃথক জায়গা থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, এক রাউন্ড গুলি, ২৩ পিস বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১ পিস কার্তুজ-সহ ১৮ পিস বোমা উদ্ধার করে। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে বোমা। বলাই বাহুল্য বীরভূমে গত চারদিনে উদ্ধার হচ্ছে ৪০০টি বোমা, ৩০ কেজি বিস্ফোরক। বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হয়েছে। তবে এর মধ্যেও চলছে বোমাবাজির ঘটনা। ভাটপাড়া, হালিশহরে বোমাবাজি হয়েছে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতেই।রাজ্যে এত অস্ত্র, বোমা আসছে কোথা থেকে? মূলত বগটুই কাণ্ডের পর থেকেই যেভাবে রাজ্য জুড়ে বোমা ও অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে, তা রীতিমতো প্রশাসনের ভূমিকাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে গিয়েছে। গ্রামগঞ্জের প্রত্যেকটা ওলিগলিতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হচ্ছে বোমা, বিস্ফোরক, তবে কি স্থানীয় প্রশাসন এসবের কিছুই জানত না? নাকি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের জন্যই অপেক্ষা করছিল প্রশাসন? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি থেকে এভাবে বোমা-অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। আতঙ্কিত গ্রামের সাধারণ বাসিন্দারাই।